#কৃষ্ণনগর: তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। শীর্ষ পদে থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন তিনি। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আকাশচুম্বী সাফল্যের পর ঘরে ফেরেন মুকুল রায়। এখন তিনি সেই তৃণমূলের পুরনো মুকুল। কিন্তু সেই মুকুল রায়ের গলাতেই ফের বিজেপির জন্য জয়ের আশাবাদ! তাও আবার নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর নিয়ে এই ভবিষ্যদ্বানী। এদিন কৃষ্ণনগর পুরসভা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুকুল। আর সেখানেই বারবার বিজেপি-র জয় এবং তৃণমূলের পরাজয়ের কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর 'ভুল' ধরিয়ে দিচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। কিন্তু 'ভুল' সেই করেই ফেলছিলেন মুকুল বাবু।
কৃষ্ণনগর পুরসভায় সাংগঠনিক কাজে গিয়েছিলেন মুকুল। এখনও তিনি খাতায় কলমে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। সেই সূত্রেই বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যানও তিনি। সেই মুকুলই এদিন উপনির্বাচন নিয়ে বলে ফেলেন, 'দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে বিজেপি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। এখানে তৃণমূল হেরে যাবে।'
তৃণমূলে ফিরেও মুকুলের তৃণমূল সম্পর্কে এমন মন্তব্য! শোরগোল পড়ে যায় এতেই। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটেই লড়েছিলেন তিনি। যদিও অন্দরের খবর, অতদূরের কৃষ্ণনগর থেকে ভোট লড়তেই রাজি ছিলেন না মুকুল। কিন্তু শেষমেশ চাপের মুখে লড়েন এবং জিতে যান। এরপরই দলবদল করে তৃণমূলে ফিরে আসেন তিনি। সেই মুকুল ফের কৃষ্ণনগর নিয়ে বিজেপির এমন সম্ভাবনার কথা বললেন! যদিও মুখ ফসকেই যে মুকুল এমন কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট। কারণ পরক্ষণেই তিনি ভুল বুঝতে পেরে বলেন, 'বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সঙ্কট প্রতিষ্ঠিত হবে। ওটা স্লিপ অফ টাং।'
প্রসঙ্গত, দলত্যাগের পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। অনেকেই অবশ্য বলছেন, সেই কারণেও কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় (Mukul Roy) নিজেকে বিজেপি নেতা বলেই প্রমাণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। অনেকেই আবার বলছেন, এটা নেহাৎই মুখ ফসকে বেরোনো কথা। যাই হোক না কেন, মুকুলের বিজেপির গুণগান নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে জোরকদমে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mukul roy