হোম /খবর /কলকাতা /
হাপিত্যেশ করে বসে থাকবে না তৃণমূল, জাগো বাংলায় ফের বার্তা কংগ্রেসকে

TMC Message for Congress in Jago Bangla: হাপিত্যেশ করে বসে থাকবে না তৃণমূল, জাগো বাংলায় ফের বার্তা কংগ্রেসকে

কংগ্রেসকে ফের বার্তা তৃণমূলের৷

কংগ্রেসকে ফের বার্তা তৃণমূলের৷

গোয়ায় এই মুহূর্তে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গোটা দেশে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছে তৃণমূল (TMC Message for Congress in Jago Bangla)।

  • Share this:

#কলকাতা: দলীয় মুখপত্রে ফের কংগ্রেসকে বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC Message for Congress in Jago Bangla)। দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় উল্লেখ রয়েছে, ''কংগ্রেস-সিপিএমের আগে ছিল গোপন আঁতাঁত। এখন প্রকাশ্যে সেটি৷ নিট ফল দুই দলই বাংলায় শূন্য। এই অবস্থায় গোয়ায় লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের সাফ কথা, বিজেপির বিরুদ্ধে গোয়ায় লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্গে রয়েছে জোট৷ কংগ্রেস এলে ভাল। কিন্তু কংগ্রেসের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকবে না। লড়াই ট্যুইটে হয় না। মাঠে নেমে লড়তে হয়। ফলে লড়াই হবে৷ খেলা হবে। মানুষ বাংলার মতো গোয়াতেও প্রমাণ করবেন, দেশে আসল কংগ্রেস হল তৃণমূল কংগ্রেস।''

প্রসঙ্গত, গোয়ায় এই মুহূর্তে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গোটা দেশে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়, রাখে না৷ আর তৃণমূল কংগ্রেস তা একশো শতাংশ পূর্ণ করে৷

আরও পড়ুন: মানুষ কী চাইছেন, কেমন আছেন? 'দিদির' ওয়ার্ডে সবার কাছে পৌঁছচ্ছেন 'বৌদি'

কিছুদন আগেই ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে 'রণক্লান্ত' বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল, 'বিজেপি-কে প্রতিরোধ করার কথা ছিল কংগ্রেসের। তারাই ছিল কেন্দ্রের বিরোধী দল। কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তদ্বন্দ আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। ব্যাটন বইতে অপারগ। সময় পড়ে থাকে না, কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সেই দায়িত্ব পালন করবে। তারাই আসল কংগ্রেস।'

তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছিল, 'সকলকে নিয়েই চলতে চান অভিষেকরা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই, আন্দোলন বিমুখ কংগ্রেস এখন যেন ডিপফ্রিজে। নেতারা টুইট সর্বস্ব। ইউপিএ ভগ্ন। আর কংগ্রেসের এই অচলাবস্থায় বিকল্প বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সর্বজনগ্রাহ্য এবং জনপ্রিয়। তাঁর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 'তৃণমূলই বিকল্প, কংগ্রেস জোটে আসতে চাইলে স্বাগত', গোয়ায় নমনীয় হলেন মমতা?

গত সপ্তাহেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর  সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তাঁর সাফ বক্তব্য ছিল, শেষ ১০ বছর ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেওয়াটা কংগ্রেস নেতৃত্বের ঈশ্বরপ্রদত্ত কোনও অধিকার নয়। কিন্তু এ হেন বিস্ফোরক টুইটের পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পিকের বিরুদ্ধে সেভাবে ঝাঁজালো আক্রমণ নেমে আসেনি। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার কংগ্রেস নেতৃত্বের দুর্বলতার কথা লাগাতার জনসমক্ষে তুলে ধরলেও খোলাখুলি তৃণমূলের বিরোধিতা করার সাহস দেখাতে পারছেন না রাহুল গান্ধিরা। বরং, তৃণমূল নিয়ে কংগ্রেস এখনও দ্বিধাবিভক্ত।

‘জাগো বাংলা’য় ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেস নেতৃত্ব আসলে সেই ঝাঁজটাই হারিয়ে ফেলেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার পরও তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারছে না। ফলে বিগত কয়েকমাস ধরে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে, গত কয়েক মাসে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল দ্রুত গতিতে উত্থান ঘটিয়েছে, কংগ্রেস যেন ততই সমস্যা জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে। দলের কোন্দল সামলাতেই তাঁরা ব্যস্ত।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বাড়াবে। দল মনে করে দেশের পয়লা পয়লা নম্বর শত্রু হল বিজেপি। সেই দলকে ২০২৪-এর ভোটে দিল্লির মসনদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। নইলে গণতন্ত্রের বিপদ। আর সেই কারণেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তার শক্তি বাড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য যে গত সপ্তাহেই কংগ্রেস শীর্ষনেতা গুলাম নবি আজাদ বলে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে  বিজেপি-র মতো ৩০০ আসন জিতে আসার ক্ষমতা তাঁর দলের নেই। অর্থাৎ, ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য, আজাদ যে কথা বলছেন, অনেকদিন আগে থেকেই তারা সেকথা বলে আসছে। তৃণমূল বহু আগে থেকেই বলে আসছে, ইউপিএ শেষ। নবকলেবরে বিরোধী জোট দরকার। দলীয় কোন্দল এবং রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তৃণমূলের কথা,সামান্য লোক দেখানো আন্দোলন ছাড়া শীর্ষ নেতারা ঘরবন্দি এবং টুইট সর্বস্ব। কিন্তু দেশে এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের দরকার। সেই দায়িত্ব বিরোধীরা তৃণমূল নেত্রীকেই দিয়েছেন। কারণ তিনিই এখন সর্বজন গ্রাহ্য, জনপ্রিয় বিরোধী মুখ। তাঁর দিকেই তাকিয়ে বিরোধী শক্তি। তবে সম্পাদকীয়তে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চান অভিষেকরা।

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Congress, TMC