#কলকাতা: দুয়ারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন৷ আর তার ঠিক আগেই আচমকা বদলি হয়ে গেলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৩ শীর্ষ আধিকারিক৷ এর আগে এভাবে রাজ্যে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর থেকে কখনও কোনও অফিসারকে সরানো হয়নি।এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়নি৷ শুধু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে৷
এই ঘটনায় স্তম্ভিত প্রায় সকলেই৷ নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও৷ সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যে তিন ডেপুটি সিইও-কে (Chief Electoral Officer) বদলি করা হল, তাঁরা শৈবাল বর্মণ, অনামিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য৷ তিন আধিকারিকের মধ্যে শৈবাল বর্মণ আইএএস অফিসার এবং অন্য দু’জন ডব্লিউবিসিএস অফিসার। শৈবাল বর্মণের দায়িত্বে ছিল মডেল আচরণবিধি এবং আইন শৃঙ্খলা বিভাগসমূহ৷ অনামিকা মজুমদার ইভিএম (Electronic Voting Machines) দেখাশোনার পাশাপাশি ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিতেন৷ অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য ভোট প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম দেখার সঙ্গেই মিডিয়া সেলও সামলাতেন৷
এখনও জানা যায়নি এই তিন আধিকারিক কোন রাজ্যে বদলি হলেন বা এদের বদলে কারা এলেন বঙ্গে৷ ২০১৪-র লোকসভা ভোট, ২০১৬-র বিধানসভা এবং ২০১৯-এ ফের লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন এই তিন আধিকারিক৷ সম্প্রতি রাজ্যে এসে ঘুরে গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ও নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাঁরা বাংলায় থাকাকালীন সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি ও অনান্য বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছিল যে, এই রাজ্যে বছরের পর বছর কীভাবে একই আধিকারিকরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকতে পারেন! তাঁরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে, সরকারি চাকরিতে যখন তিন বছর অন্তর বদলি হয়, তখন এনাদের কেন বদল হবে না! এখন অনেকেই মনে করছেন যে, বিজেপি ও অনান্য বিধোরী দলের অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন এই বেনজির পদক্ষেপ নিল৷