#কলকাতা: বলা যায় মদেই মোক্ষলাভ। কারণ, আর সব কিছুতে সরকারি আয় কমলেও কমেনি মদের শুল্ক বাবদ আয়। করোনা হোক বা লকডাউন, রাজ্য সরকারের ঘরে মদের শুল্ক বাবদ যে অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে, তাতে ঘাটতি প্রায় নেই বললেই চলে। গত বছরের তুলনায় এই বছরে এই একই সময়ে মদের থেকে শুল্ক কম আদায় হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। মার্চ থেকে টানা লকডাউনের সময় মদের দোকান বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল বার, পাব সবই। টানা ৪২ দিন মদের দোকান বন্ধ থাকলেও খোলার পর ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে গিয়েছে। পুষিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। মদের শুল্ক বাবদ যেখানে গতবছর এই সময়টায় আয় হয়েছিল ৩৬০০ কোটি টাকা, এবার সেই আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, মাত্র ১০০ কোটি টাকা কম।
মনে করা হচ্ছে, শুল্ক বাড়িয়েই এই ঘাটতি পুরণ করে নিয়েছে রাজ্যের আবগারি দফতর। রাজ্যে মদে শুল্ক বৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু তাতে কী, ‘বিক্রি কিছুটা কমলেও আয় কমেনি’ বলছেন রাজ্যের মদের দোকানের কারবারিরা। দীর্ঘ ৪২ দিন পর যখন মদের দোকান প্রথমবারের জন্য খোলে, সেদিন দোকানের সামনে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইনের ছবি দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! এত রোগ, এত দুশ্চিন্তার মধ্যেও মদের বিক্রি যে মোটে কমেনি তার প্রমাণ মিলেছিল আরও একবার।
আবগারি দফতরের মুখে হাসি ফোটায় তাঁরাও এবার কিছুটা ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছেন। মনে করা হচ্ছে, বর্ধিত শুল্ক পুজোর আগে বেশ কিছুটা কমতে পারে। যেভাবে দিল্লিতে করোনা ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়েছে, সেভাবে এই রাজ্যেও শুল্কের পরিমাণ কমানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুজোর আগেই রাজ্যে কমতে পারে মদের দাম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alcohol