#কলকাতা: রোজগারের ঠিক নেই, ঠিকানাও নেই, কত রোজগার হবে তা জানাও নেই। বাড়ির লোকের হাজারো কটু কথাকে উপেক্ষা করেই চলে ওদের রোজের নাটক। নাটক ওরাই করে, হাতে থাকা কাগজে লেখা পাঠ, কখনো ভালো আবার কখনো মন্দের চরিত্রের অভিনয়। বড় বড় লাইট আর চওড়া মেকাপে বোঝা যায় না ওদের প্রকৃত পরিচয়। ওদের প্রকৃত বাস্তব জানতে চায় না কেউ, অভিনয় মঞ্চে যে রাজা সে হয় ব্যাক্তিগত জীবনে অভাবী। লকডাউনের জেরে বহুদিন মেকাপহীন সেই থিয়েটার গ্রুপগুলো। অনেক নামী থিয়েটার শহরের থাকলেও অনামী অনেক থিয়েটার আছে শহরের বুকেই। সেই থিয়েটারগুলো চলাকালীন সমস্যাও প্রচুর, সামান্য উপার্জনে দিনযাপন শুরু কষ্ট সাধ্য নয় চ্যালেঞ্জের।
মার্চ ও এপ্রিল মাস সেরকম বুকিং না থাকলেও বিভিন্ন অভিনেতার ডাক আসে, তাতে রোজের কিছু টাকা তো পকেটে আসে। আজ তাও নেই, শুধুই চিন্তা কতদিন লকডাউন? সবার মনোরঞ্জন যারা করে, আজ তাতেরই মন খারাপ। যে টাকায় দিনযাপন চ্যালেঞ্জ, লকডাউন উঠলে সেটা বুকিং আর হবে তো? একরাশ প্রশ্ন নিয়ে প্রায় ৫০ জন থিয়েটার কর্মী এবার চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। পাইকপাড়ার সুরেন্দ্র সিংয়ের একই অবস্থা, তিনি জানাচ্ছেন যেদিনগুলো আটকে রাখা যেত না সেগুলোই এখন বড় দিন। একই অবস্থার স্বীকার সুনয়ন মুখোপাধ্যায়ের। প্রতিটি দিন তাদের কাছে এক একটি চিন্তা। শুধুই যে অভিনেতা তা নয়, মেকাপ আর্টিস্ট, লাইট ম্যান, সেট ডিজাইনারের ও একই অবস্থা। সবাই যেন এক নতুন নাটকের অজানা গল্পের শেষ অংশের শেষ লাইনের অপেক্ষায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, Lock Down