#কলকাতা: ভারতবর্ষের রাজ রাজার আমল থেকেই ঘুড়ি ওড়ানো ছিল একটা শখের খেলা। শীতকালে দেশের নানা প্রান্তে মানুষ ঘুড়ি ওড়ানোর খেলায় মেতে ওঠেন। ঘুড়ি ওড়ানো এবং ভো-কাট্টার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়৷ কিন্তু মানুষের এই বিনোদনের পেছনেই একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। প্রতিবছর ঘুড়ির সুতোয় প্রচুর পাখির প্রাণ যায়। পিপল ফর দা ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট ফর অ্য়ানিম্য়ালস (PETA) ও অন্যান্য সংস্থা এই নিয়ে আন্দোলন করছে ৷মানুষের বিনোদনের খেসারত দিতে হয় অবলা প্রাণী দের। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু সহানুভূতিশীল মানুষ তাদের বাঁচানোর জন্যও চেষ্টা করেন। ঘুড়ির সুতোয় আহত পাখিদের শুশ্রূষা করে আবার তাদের আকাশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঘুড়ির উৎসব দেশের এক প্রাচীন উৎসব। মকর সংক্রান্তি এবং বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এই উৎসব হয়। ঘুড়ি কাটার জন্য সুতোয় কাচেের গুঁড়ো লাগিয়েে মাঞ্জার রীতি প্রচলিত। আর এই মাঞ্জার ফলেই পাখিরাা আহত হয়ে পড়ে। ঘুড়ি ওড়ানো যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছেেে পাখিদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা। সাধারণত সকালে ও বিকালে ঘুড়িি ওড়ানো হয় আর সেই সময় তেই পাখিরাা দলবদ্ধ হয়ে আকাশে ওড়ে, তাই এই সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে সবথেকে বেশি। উলটে নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জার দাপটেও পাখিদের আহত হওয়ার সংখ্য়া বাড়ছে ৷শুধু ভারতের নানা জায়গাতেই নয় আমাদের এই রাজ্যেও দুর্ঘটনার সংখ্যা নেহাত কম নয়। একটি সমীক্ষায়় উঠে এসেছে প্রতিবছর কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় মোটামুটি দুই হাজার পাখি জখম হয় এবং পাখি মৃত্য়ুর সংখ্যা প্রায় ৬০০।আকাশ হচ্ছে পাখিদের মুক্ত বিচরণ ক্ষেত্র মানুষ তার আনন্দের জন্য তাদের জীবনযাত্রাকেে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মানুষের তৈরি সমস্যা মানুষেরই উচিত সমাধান করা। বিশেষজ্ঞদের এমনই দাবি। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম জয়দীপ কুন্ডুর মতে" প্রতিযোগিতার নেশায় ঘুড়ির সুতোর মাঞ্জায় কাচের গুঁড়ো লাগানোো বন্ধ হোক। বন্ধ হোক চিনা মাঞ্জার ব্য়বহার৷ ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীতে আর কোথাও মাঞ্জার ব্যবহার নেই। আনন্দ করুক, বিনোদন করুক কিন্তু তার জন্য যেন কোনও প্রাণীর ক্ষতি না হয়। পৃথিবীটা বড় সুন্দর। তাই মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।"SHALINI DATTA
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।