কলকাতা: বম্ব ডেটোনেটর উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত মুনতাজ আলি সম্পর্কে প্রকাশ্যে এল আরও বিস্ফোরক তথ্য়। শুধু ডেটোনেটর সরবরাহের বেআইনি ব্যবসাই নয়, বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিস্ফোরক তৈরির রীতিমতো কারখানা রয়েছে মুনতাজের। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA এবং রাজ্য পুলিশের STF।
NIA সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিস্ফোরকের রমরমা কারবার চালায় এই মুনতাজ। রয়েছে বিস্ফোরকের কারখানা এবং গোডাউনও। সেই কারখানায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-এর মতো রাসায়নিক ব্যবহার করে বোমা বানানো হয় বলে সূত্রের খবর।
এখানেই শেষ নয়, এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনতাজের এই কারখানা একদিন দুদিন নয়, কমপক্ষে এক দশক ধরে চলছে। এর আগে মুনতাজের শাগরেদ ইমরানকেও গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স।
কিন্তু কী ভাবে চলত এই বিস্ফোরক তৈরির রমরমা কারবার? কারখানার লাইসেন্স কি আদৌ ছিল? নাহলে ১০ বছর ধরে একটা জায়গায় বেআইনিভাবে বোমা বানানো হতে থাকল, আর প্রশাসন কিচ্ছু জানতে পারল না! এখন এই সবেরই উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের মহম্মদ বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিন ডেটোনেটর উদ্ধারের ঘটনায় হাওড়া থেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুনতাজ আলিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে ইলেকট্রনিক ডেটোনেটর সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে এই মুনতাজের বিরুদ্ধে।
রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স, এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০২২ সালে ২৯ জুন গভীর রাতে বীরভূমের মহম্মদ বাজারে একটি এসইউভি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় একাশি হাজার বৈদ্যুতিন ডেটোনেটর। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। প্রথমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পরে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এনআইএ-র হাতে যায় তদন্তভার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।