#কলকাতা: একসঙ্গে একশো ঠাকুর। এক মণ্ডপে। থিমের মধ্যে রয়েছে পুরোনকে নতুন করে খুঁজে পাওয়া। তাই নাম রাখা হয়েছে পুরোন সেই মায়ের কথা। এই বছর আটাত্তর বছরে পা দিল টালাপার্ক ১৫ পল্লী। উদ্যোক্তাদের আশা, ভুলে যাওয়া সেরা একশো ঠাকুরের মুখ আবার ভেসে উঠবে, তাঁদের মণ্ডপে এলে। শরতের দুপুরে ভাত-ঘুমের মেজাজ। একটু হেলান দিয়ে ঘুমের আমেজ আনার চেষ্টা করছেন মহাদেব। তাঁর গায়ে আপন খেয়ালে নকশা আঁকছেন শিল্পী। এই নকশায় খেলে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন রং। শান্ত চোখে সিংহে পীঠে বসে সেই কাজ দেখছেন দুগ্গা। না এই ছবি কৈলাশ গাঁয়ের উঠোনের নয়। ব্যস্ত শহর কলকাতার টালা পার্কের। রাজা মণীন্দ্র রোডের উপরে পনেরোর পল্লী। সময়ের খাতে বয়ে সাবেকিয়ানা ছেড়ে তারা পা বাড়িয়েছেন থিমের জোয়ারে। কিন্তু ভুলতে পারেননি পুরোন কলকাতার মেজাজকে। কথায় বলে, সাধারণ মানুষের মনে রাখার শক্তি কম। তাই এবার কলকাতাকে তারা মনে করিয়ে দিতে চায় সাবেক দুর্গার মুখ। ষষ্ঠী থেকে দশমী। ঢল নামবে মহানগরে। আট থেকে আশি ছুটে বেড়াবে টালা থেকে টালিগঞ্জে। কিন্তু এই মণ্ডপে এলেই এক লপ্তেই পাওয়া যাবে একশো দুর্গাকে। যাঁদের মুখ একসময় ভেসে থাকত নগরজীবনে।আর নাওয়া-খাওয়া নেই। টুক টুক করে কমে যাচ্ছে সময়। তাই টালাপার্কের এই পুজোর প্রস্তুতিতে এখন যুদ্ধের তৎপরতা। গত কয়েকবছর বিভিন্ন ভাবনায় দক্ষিণ কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে উত্তরের এই ঠাকুর। এবারও পুরোন সেই মায়ের কথা ভেবেছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল। মণ্ডপেও নতুনত্ব এনেছেন। মূলত ফ্লেক্স দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে মণ্ডপকে। সঙ্গে থাকছে সোলার কাজ। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।