#নন্দীগ্রাম: তিনি এখন হলদিয়ার ভোটার নন, নন্দীগ্রামের ভোটার হয়ে গিয়েছেন। ১৪ মার্চ অর্থাৎ আজ নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের দিন কার্যত ভাঙাবেড়ার শহিদবেদী মঞ্চ থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভোটার হওয়ার পরেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কেন না এবারে নন্দীগ্রামের বিধানসভা আসনের শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
ভাঙা বেড়ার শহীদবেদী মঞ্চ থেকে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন "গোকুলনগরে গুলি চালিয়েছিলেন যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে তৃণমূলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে পুলিশ অফিসার অরুণ গুপ্ত, তনময় রায়চৌধুরী নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিল তৃণমূল সরকার আমলে তাঁদের পদোন্নতি হয়েছে। ক্ষমা করবেন না, আমি শহিদ পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ। দলমত সম্প্রদায় নির্বিশেষে নন্দীগ্রামের মানুষ আমার আত্মীয়-স্বজন। আমি সকলের পাশে রয়েছি এবং থাকব।"
তৃণমূল পন্থী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস উপলক্ষে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একাধিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি রাখা হয়েছিল। ভাঙাবেড়াতে তৃণমূল পন্থী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফ এ শহিদবেদী করা হয়েছিল যেখানে এদিন শ্রদ্ধা জানান ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু থেকে শুরু করে একাধিক বুদ্ধিজীবী এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। অবশ্য শুভেন্দু অনুগামী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা ভাঙাবেড়াতে আর একটি অংশে শহীদ বেদীতে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি করে রেখেছিল।
নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়াতে শুভেন্দু অধিকারী আসবে শুনে সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল পন্থী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। কখনও পথ অবরোধ করে বসা আবার কখনও শুভেন্দু অনুগামী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের তরফে যে অংশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেই বিক্ষোভ- স্লোগান করা। বিক্ষোভের পারদ এতটাই ছিল যে, শেষমেষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উপস্থিত হতে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। শুধু তাই নয় গোটা ভাঙাবেড়া এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করে। তৃণমূল পন্থী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে শুভেন্দু অনুগামী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা ও। দফায় দফায় পাল্টা স্লোগান বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে থাকেন তারাও। তৃণমূল পন্থী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়ে জায়গায় জায়গায় পোস্টারও দিতে থাকে।
ভাঙাবেড়াতে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখার সময় শুবেন্দু একহাত নেন বিক্ষোভকারীদেরও। তিনি বলেন " গেটের সামনে চারটে লোক দিয়ে নোংরা কথা বলিয়ে শুভেন্দুকে রোখা যাবে না। এবারে গণতান্ত্রিক পথে ভোট হবে। আমি সব ব্যবস্থা করে দেব। আমি নিজেও এখন নন্দীগ্রামের ভোটার। আপনাদের পাশেই থাকবো।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়