নয়াদিল্লি: গত বছর করোনা কালে সারা দেশে ফুটে উঠেছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) দুর্দশার চিত্র। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি পৌঁছনোর জন্য হেঁটেছিলেন দীর্ঘ পথ। কেউ কেউ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পথেই প্রাণ হারান। দেশের করোনা পরিস্থিত এতটাও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেনি তখন, তবু পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুমিছিল দেখেছিল দেশ। সমালোচিত হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণেই কাঠগড়ায় মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কড়া পর্যবেক্ষণের মুখে পড়ল কেন্দ্র।
প্রথম ঢেউয়ের মতোই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গোটা দেশে সার্বিক লকডাউন না হলেও বিভিন্ন রাজ্যে টানা লকডাউনই চলছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চ কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেন, 'পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে কাজ নেই, টাকা নেই। তাঁরা বেঁচে থাকবেন কী ভাবে?'
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম আক্রমণের সময় হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বহু শ্রমিকের সামান্য খাওয়াটুকুও জোটেনি। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বসাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাদ্য, শুকনো রেশন, নগদ টাকা ও যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করতে শীর্ঘ আদালতের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সেই মামলার শুনানিতেই উঠে আসে, গত বছর লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা যে দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে কাটিয়েছেন, আবারও তেমনই পরিস্থিতি দেখা দিতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে বলা হয়, দেশে যা পরিস্থিতি চলছে, তা মোকাবিলায় সরকারের সহানুভূতির অভাব রয়েছে। শুধুমাত্র রেশন কার্ড রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্যই খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচিগুলি রয়েছে। গত বছর করোনা পরিস্থিতির সময় রেশন কার্ড নেই এমন ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে শুকনো রেশন দেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প এবারও চালু করতে অনুরোধ করা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Supreme Court