আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বিধাননগর সিজিও থেকে আদালতে পেশ করার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। বেহালা থানার কাছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গাড়ি যখন অতিক্রম করছিল তখন ভেসে আসে কিশোর কুমারের বিখ্যাত গানের লাইন, "অ্যায়সা কই সাথী হো, অ্যায়সা কই প্রেমী হো, পেয়াস দিল কি বুঝা যায়"।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে এই সময়ের ভিডিও। যা নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে গভীর চর্চা। প্রসঙ্গত, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধার৷ শান্তিনিকেতনে 'অপা' বাড়ির খোঁজ। আর পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল আলোচনা চলছে সমাজমাধ্যমে ৷ আর তারই মধ্যে এই ভাইরাল ভিডিও নজর কেড়েছে সকলের। যে গানটি এদিন বাজছিল, নীলে নীলে অম্বর পর- কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান। যা ব্যবহার করা হয়েছিল ‘কলাকার’ সিনেমার জন্য৷
আরও পড়ুন-ট্রেনের চেয়েও কমে বিমানভাড়া ! চলছে ইন্ডিগোর দুর্দান্ত ‘সুইট সিক্সটিন’ অফার
গানটি লিখেছিলেন ইন্দিবর ও মনোজ কুমার৷ গানটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কল্যাণজি-আনন্দজি৷ সিনেমার পরিচালক ছিলেন পি সম্ভাশিবা রাও। বহু দিন ধরেই বিভিন্ন সময়ে এই গানটি প্রেমের গান হিসাবে নানা স্থানে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই গান ব্যবহার নিয়ে জোর গুঞ্জন৷আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পরপর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে! শুক্রবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন- বর্ষায় জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? পাতে এই ফল, সবজি রাখলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোতে দেখা যায় অর্পিতাকে। তিনি হুইলচেয়ারে ছিলেন! সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরতেই বলে উঠলেন, ‘‘যা যা বলার সব ইডি-কে বলে দিয়েছি।’’ অন্যদিকে, হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়ও কোনও কথা বললেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে পার্থ-অর্পিতাকে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার আদালতে তোলার আগে সকালে ফের পার্থ ও অর্পিতাকে মুখোমুখি জেরা করেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি জীবনবিমার নমিনি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই পার্থ দাবি করেছেন, অর্পিতাকে তিনি নাকি তেমন ভাবে চেনেনই না। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতাকে দেখিয়ে পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, '' আপনি এনাকে চেনেন?'; পার্থর দাবি, 'না তেমন ভাবে চিনি না!’’ ইডি আধিকারিকেরা ফের পার্থকে জিজ্ঞেস করেন, 'উনি কি আপনার খুব ক্লোজ?' পার্থর দাবি, ‘‘না! নাকতলার পুজোর সময় দেখেছি।’’ মুখোমুখি জেরায় পার্থকে ইডি প্রশ্ন করেন, 'অর্পিতাকে তাহলে কী ভাবে চেনেন?', পার্থ বলেন, 'মাঝে মাঝে দেখেছি পুজোয়, অনেকেই সেখানে আসত'। টাকা উদ্ধার নিয়ে পার্থকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘‘শুনেছি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই টাকা আমার না। কার টাকা তাও জানি না।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।