#কলকাতা: রবিবারের বাজার। বাঙালি ভাল মন্দ খাওয়ার জন্য জমিয়ে রাখে সপ্তাহ শেষের এই দিনটি। কিন্তু বাজার ঘুরে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে থলি ভরাতে গেলে খরচ করতে হবে অনেক টাকা। উদাহরণ হিসাবে যাদবপুর বাজার ধরলেই ছবিটা স্পষ্ট হবে। রবিবারের বাজারে সকাল থেকেই সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া।
কুমড়ো ২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে, গাজর ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা, লঙ্কা ১২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা দাম হয়েছে। মানে সবজির বাজারে এককথায় আগুন লেগেছে বলা চলে।
এই ক’দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে আলুর দাম। সরকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে হলে খবরও পাওয়া গিয়েছে। কিন্ত বিভিন্ন বাজারে ইবি অভিযান চালালেও আলুর দাম এখনও লাগামের বাইরেই রয়েছে। যাদবপুর বাজারে দেখা গিয়েছে, জ্যোতি আলু ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে চন্দ্রমুখী ৪০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। মানে এত নজরদারি সত্ত্বেও আলুর দাম মোটে কমেনি। বরং আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।
রবিবারের বাজারে মাংস ছাড়াও এখন ইলিশ অন্যতম উপাদেয় খাদ্য। কিন্তু সপ্তাহ শেষে সেই ইলিশের দামও যে চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের চাহিদা আছে সবসময়েই। কিন্তু সেই চাহিদা মেপে মাছ এসে পৌঁছচ্ছে না বাজারে। সেই কারণেই এখনও চড়া রয়েছে ইলিশের দাম। আর এর থেকে দাম কমতে পারে বলেও মনে করছেন না বিক্রেতারা। কারণ, সাম্প্রতিককালের হঠাৎ করে ইলিশের যোগান বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা তাঁরা দেখছেন না। এদিন যাদবপুর বাজার এক কেজির কম ওজন এমন ইলিশ মাছের দাম দাঁড়িয়ে ৯০০ টাকা কেজি প্রতি, এক কেজির বেশি ওজনের দাম ১২০০ টাকা প্রতি কেজি, ১.৫ কেজির বেশি ওজন মাছের দাম ১৮০০ টাকা কেজি।