কলকাতা: এবার জঙ্গলমহল উৎসব জাঁকজমক করে হয়নি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। আদিবাসী মানুষের মধ্যে এর যাতে প্রতিক্রিয়া না হয়, সেজন্য রাজ্য আদিবাসী কল্যান দফতর ‘জয় জহর মেলা’র আয়োজন শুরু করেছে। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে "জয় জহর মেলা"।
রাজ্যের ১৫ জেলার আদিবাসী প্রবণ ১০২ টি ব্লককে এজন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার থেকে ৩০ জানুয়ারি একই সঙ্গে এই ব্লক গুলিতে চলবে জয় জহর মেলা। এজন্য প্রতি ব্লককে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং জেলাকে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আদিবাসী কল্যাণ দফতর জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি মেলাকে ঘিরে আদিবাসি মানুষকে নিয়ে তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি খেলাধূলার আয়োজন করতে হবে।
স্থানীয় আদিবাসী শিল্পীদের মেলার অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে সুযোগ দিতে হবে। এজন্য স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত প্রচারের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও আদিবাসী নেতাদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। তাঁরা যাতে অবশ্যই মেলায় আসেন তা সুনিশ্চত করতে হবে।
মেলায় থাকছে সরকারি পরিষেবার সুযোগ। খুলতে হবে স্বাস্থ্য শিবির। রক্তদান শিবির এবং চোখের ছানি অপারেশনের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে মেলায়। এজন্য প্রতিটি মেলা ঘিরে আদিবাসী মানুষ জাতিগত শংসাপত্র, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাশ্রীর মতো বৃত্তিদান শিবির খুলতেই হবে। রাখতে হবে আদিবাসী মহিলা দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাইক্রো ক্রেডিটের সুযোগ পাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা, চোখের আলো স্বাস্থ্য প্রকল্প, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর, কৃষি দফতর থেকে আদিবাসী মানুষের জন্য পরিষেবাদানের সমস্ত সুযোগ।
ব্লকের আদিবাসী মানুষজন মেলায় এসে সরকারি পরিষেবার সুবিধার জন্যও আবেদন জানিয়ে নিতে পারেন। কারণ দুয়ারে সরকারের মতো সরকারি শিবির খুললে আদিবাসী মানুষ সরকারি পরিষেবার জন্য সব সময় যোগ দিতে পারেন না। কারণ এরা অধিকাংশই গরীব মানুষ।প্র তিদিন কাজের সন্ধানে সকালে বেড়িয়ে পড়েন। সরকারি শিবিরে পরিষেবা নিতে হলে এক দিনের রোজগার বন্ধ হতে পারে।
এজন্য রাজ্য সরকার ভ্রাম্যমান দুয়ারে সরকার শিবির খোলে। বিকালের পর আদিবাসী মহল্লায় এই ভ্রাম্যমান শিবিরকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল। তাই আদিবাসী মানুষের জন্য নিজস্ব মেলাতেও সরকারি পরিষেবা পাওয়ার শিবির খোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, তিনটি নয়, দু'টি যুদ্ধ বিমান ভেঙে পড়ে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে! এক পাইলটের মৃত্য়ু
আরও পড়ুন, ত্রিপুরা রাখতে মরিয়া বিজেপি, প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও! রয়েছে সংখ্যালঘু মুখ
মেলা জুড়ে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজ্য সরকার আদিবাসী হস্তশিল্পের বাজারকেও উৎসাহিত করতে চায়। এজন্য স্থানীয় আদিবাসী হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দুয়া পাতা সংগ্রহকদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ রাখতে হবে। বন দফতর থেকে মেলায় ঔষধি গাছ বিক্রির স্টল দেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Government Scheme, Nabanna, STATE GOVERNMENT