কলকাতা: মুর্শিদাবাদের সুতি গথা হাইস্কুলে বেনিয়ম করে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় ভবানী ভবনে হাজির হলেন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। যদিও ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি এদিন হাজিরা দেননি। এদিন ভবানী ভবনে ডেকে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ স্কুলে বেনিয়ম করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। কী ভাবে দিয়েছিলেন তিনি চাকরি? ছেলে কী করে বেতন পেত? স্কুলে চাকরির পরীক্ষা যে বছর হয়নি, সে বছর অনিমেষ চাকরি পান। পরীক্ষা না হলে চাকরি কী করে হল? নিয়োগে তৎকালীন শিক্ষা দফতরে ভূমিকা কী ছিল? সূত্রের খবর, এসব প্রশ্নই আশিসকে জিজ্ঞাসা করেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা।
সোমবার ভবানী ভবনে হাজির হওয়ার জন্য সুতির গথা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলেকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিআইডি। এর আগে মুর্শিদাবাদে দু'বার ছেলে ও বাবাকে তলব করেছিল গোয়েন্দারা। সোমবার ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি হাজিরা না দেওয়ায় সিআইডি কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:'কলঙ্কের চাকরি বাতিল হবেই', ভুয়ো শংসাপত্র মামলায় ফের তোপ বিচারপতির
সিআইডি সূত্রের খবর, ভবানী ভবনে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাজিরা দিলেও, তাঁর ছেলে এদিন আসেননি। ফলে এবার সিআইডি গোটা বিষয়টি হাইকোর্টে জানাতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে, হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানোর পথে হাঁটবে সিআইডি। তিন বারের নোটিসে হাজিরা এড়ালে কড়া পদক্ষেপ করবে সিআইডি। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে সুতি গথা স্কুলে বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগে এবার নজর দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা দফতরের উপরেও।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশিসের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। কী করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি? একজন শিক্ষক নিয়োগ করা হল, অথচ যাচাই করা হল না কেন? প্রয়োজনে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা দফতরে কর্মীদের উপরেও নজর দেবে সিআইডি। তেমনটাই খবর সূত্রের। এ নিয়ে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা কী ছিল, তা-ও জানতে চায় সিআইডি। এই মামলায় সুতি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য, স্কুলের কর্মচারী, শিক্ষক-সহ মোট ২০ জনকে মুর্শিদাবাদে সিআইডি ডিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
আরও পড়ুন: চতুর্দিকে ছড়়িয়ে চাপ চাপ রক্ত, বেলুন কিনতে গিয়ে এই কাণ্ড হবে কে জানত?
সিআইডির গোয়েন্দারা ওই স্কুলে গেলে অন্য শিক্ষকেরা জানান, ২০১৯ সালে অনিমেষ তিওয়ারি ডেপুটেশনে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ২০২১ চাকরি পান অনিমেষ। ওই বছর কোনও পরীক্ষা হয়নি। তার আগে কোনও পরীক্ষায় বসেনি অনিমেষ। পরীক্ষা না হলে অনিমেষ চাকরি হল কী করে? অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবা আশিস তিওয়ারি প্রভাব খাটিয়ে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন।
এর পরেই তদন্তে নামে সিআইডি। সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার পরে নাগাল মিলছিল না অভিযুক্ত বাবা ও ছেলের। সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি হাজিরা দেন ভবানী ভবনে। তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।