#কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে আবারও শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ নিয়ে সরগরম রাজ্য । উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত থমকে রয়েছে। তার মধ্যেই নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ক্লাসে শিক্ষক নিয়োগের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার শহরের রাজপথে মিছিল করলেন এসএসসির শতাধিক চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন করুণাময়ী মোড় থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেন তারা। যদিও ময়ূখ ভবন এর সামনেই তাদের পুলিশ আটকে দেয়। পুলিশ আটকে দিলে তারা সেখানেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিয়ে সাময়িকভাবে কর্মসূচি তুলে নেয় চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি বিধানসভা ভোটের আগেই নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশ এই দুই পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শেষ করতে হবে। তাদের দাবি বিষয়ভিত্তিক MCQ টাইপের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত প্যানেল তৈরি করতে হবে।
চলতি সপ্তাহেই কি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও রায় দিতে পারে? অন্তত এমনটাই অনুমান স্কুল সার্ভিস কমিশন ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের। গত বছর পুজোর ঠিক আগে আগে উচ্চ প্রাথমিকে মেধাতালিকা প্রকাশ করার পরেই গরমিল অস্বচ্ছতার অভিযোগ পুরোপুরি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি হতে চলল নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকে সেই মামলার শুনানি শেষ। চলতি সপ্তাহে তার রায়দান হতে পারে বলে অনুমান দপ্তরের আধিকারিকদের। সেক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতে হাইকোর্টের রায় হওয়ার পর পর এই দুই সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সূত্রের খবর অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি একাধিক সরলীকরণ করা হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে। কিন্তু তার আগেই বিধানসভা ভোটের আগে এসএসসিতে নিয়োগ নিয়ে আবারও আন্দোলনের সংকেত দেখা যাচ্ছে।
পুরনো বিজ্ঞপ্তি মেনে ইতিমধ্যেই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ। শুধুমাত্র উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। সূত্রের খবর উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের মারফত আর নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি দিতে চাইছে না রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। তার কারণ উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাকি থাকাকালীন যদি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ এর নিয়োগের ক্ষেত্রে কত শূন্য পদে রয়েছে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়নি বলেই দপ্তর সূত্রে খবর। তাই আপাতত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করাটাই এখন সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এসএসসি এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তর বলেই জানা গিয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়