#কলকাতা: বয়াল কাণ্ডে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের রিপোর্টে হাসি চওড়া হল তৃণমূলের। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ অফিসে চিঠি দিয়ে বিবেক দুবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালে ভোটদান ব্যাহত হয়নি।
নন্দীগ্রামের ভোট উৎসবে সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছিলেন। নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসলেও, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল থেকে, বারংবার অভিযোগ জানানো হয় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১ টা ১৫ নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বয়াল সাত নম্বর বুথে। রীতিমতো ধর্নার কায়দায় দুইঘণ্টা ওই বুথেই থাকেন তিনি। ওই জায়গা থেকেই যোগাযোগ করেন রাজ্যপালের সঙ্গে, ওখান থেকেই রাইটিং প্যাডে চিঠি লেখেন কমিশনে। আদালতে যাওয়ার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করে কমিশন।
আজ সেই রিপোর্টে বিবেক দুবে জানান, মমতা যখন বয়াল ৭ নং বুথে পৌঁছন বাইরে ততক্ষণে যুযুধান দুইপক্ষ (বিজেপি ও তৃণমূল) রীতিমতে একে অন্যের বিরুদ্ধে ফুঁসছে। এই অবস্থায় নিরাপত্তার খাতিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখান থেকে বের করা অসুবিধেজনক ছিল।
পাশাপাশি তিনি ওই রিপোর্টে লিখেছেন, ওই এলাকায় ভোট পরিচালনায় খুব বড় কোনও সমস্যা হয়নি। আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর ভূমিকার কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত কালই শিরোনামে আসেন আইপিএস ত্রিপাঠী। তাঁর উপর বাকি সময়ে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনার ভার ন্যাস্ত করেই বয়াল ছেড়ে সোনাচূড়া রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বয়াল-অবস্থান পর্ব ভালো ভাবে নেয়নি বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবারই বিরক্তির সুরে বলেন, ওখানে উনি কী করতে বসে আছেন! আজ কমিশনে বিজেপির প্রতিনিধিদল এই নিয়ে অভিযোগপমত্রও জমা দেয়। তাঁরা অভিযোগ জানান, বয়ালে মমতার উপস্থিতি শ্লথ করে দিয়েছে ভোট প্রক্রিয়াকে। সেই অভিযোগ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিবেক দুবের চিঠিতে। আসল ম্যাচে কী হবে জানা নেই, তবে দু ঘণ্টার টি টোয়েন্টিতে জিতে গেলেন মমতা।