#কলকাতা: সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে সম্পর্কটা পারিবারিকও বটে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দু’জন দু’জনের পাশে সব সময় থাকেন। দুজন ভিন্ন জগৎ এর মানুষ। একজন রাজনীতি, অন্যজন খেলাধুলা। তবুও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার এতটুকুও খামতি নেই। একজন সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, অন্যজন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ, অশোকবাবুর কাছে সবসময় ঘরের ছেলে। ছোট ভাই। সুযোগ পেলেই দেখা করেন। ফোনেও খবর রাখেন সৌরভ। সোমবারও ফের একবার কলকাতায় দেখা হল সৌরভ এবং অশোক বাবুর। কলকাতায় আসলে হাতে সময় থাকলে সৌরভের সঙ্গে দেখা না করে শিলিগুড়ি ফেরেন না বর্ষীয়ান এই নেতা। গতবছর অসুস্থতার পরেও সৌরভ দেখা করেছিলেন। কয়েক মাস আগে করোনা হওয়ার পর সৌরভ ফোনে কথা বলেন। সোমবার এক বিশেষ আবদার নিয়ে সৌরভের কাছে হাজির হন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র।
রাজনীতি করার পাশাপাশি লেখালেখি দীর্ঘ দিনের শখ অশোক ভট্টাচার্যের। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর সেই বিষয়েও একটি বই লিখে ফেলেছেন এই সিপিআইএম নেতা। করোনা ও নগর অর্থনীতি নামে তাঁর লেখা পুস্তকটি সৌরভের হাত দিয়ে উদ্বোধন করতে চান অশোকবাবু। প্রিয় অশোকদার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বলে দেন সৌরভ। শুধু তাই নয়, কলকাতায় বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের জায়গায় সৌরভ নিজে ঠিক করে দেবেন বলে অশোক বাবুকে জানান মহারাজ। পুজোর আগেই নিজের লেখা বই প্রকাশ করতে চান অশোক ভট্টাচার্য।
বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও প্রিয় অশোকদার সঙ্গে দীর্ঘক্ষন গল্প করেন সৌরভ। অশোক ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন সৌরভ। দুজনের মধ্যে ক্রিকেট, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল নিয়ে কথা হওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। অশোক ভট্টাচার্য নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো বিষয়টি লিখে জানান। অর্থনীতির বিষয়ক আলোচনায় উঠে আসে এদিনের সাক্ষাতে। শিলিগুড়িতে যাওয়ার জন্য সৌরভকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যান অশোক ভট্টাচার্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sourav Ganguly