#পানিহাটি: পানিহাটি সভা থেকে ফের দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ সৌগত রায়ের ৷ সরাসরি নাম করে ঝাঁঝালো ভাষায় গেরুয়া শিবিরের নয়া সদস্যকে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদের ৷ গুরু গম্ভীর সুবক্তা হিসেবে পরিচিত সৌগত রায় এদিন রীতিমতো বলিউড ফিল্মের ডায়লগ আউড়ে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি দেন, ‘শুভেন্দু দুধ চাও তো ক্ষীর দেব, মমতার পদ চাইলে চিরে দেব ৷’
দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লে তখনও শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের বিধায়ক, তৃণমূল সদস্য ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ সৌগত রায়কে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ৷ শুভেন্দুর সমস্ত ক্ষোভ মিটিয়ে দলে রাখার জন্য বারবার আলোচনায় বসেছিলেন সৌগত রায় ৷ কিন্তু সব প্রচেষ্টাই জলে যায় যখন ২ ডিসেম্বর বৈঠকের পর ক্ষুব্ধ শুভেন্দু মেসেজ করে তৃণমূল সাংসদকে জানান, ‘দলের সঙ্গে কাজ করা আর সম্ভব নয় ৷’ তখনই বোঝা গিয়েছিল নিজের রাস্তা জোড়াফুলের থেকে আলাদা করে নিতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তারপর তো রাজনীতির জল কোনপথে এগিয়েছে তাঁর সাক্ষী বাংলার রাজনৈতিক ময়দান ৷ সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন সৌগত রায় বলেন, ‘দলে রাখার জন্য শুভেন্দুর হাতে পায়ে ধরেছিলাম ৷ বলেছিলাম ২০০৬ থেকে আছিস আমাদের সঙ্গে, এখন যাস না বাবা ৷ এবার মুখ দর্শন করব না ৷’ হুঁশিয়ারির সুরে প্রাক্তন সতীর্থ এবং বর্তমান বিরোধী শুভেন্দুকে শাসিয়ে বলেন, ‘শুভেন্দুর বাড়ির দরজায় মাইক লাগিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি, এবার বাড়ির ভিতর ঢুকে মাইক বাজাব।’
জার্সি বদলে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নেওয়ার পরের মুহূর্ত থেকেই পুরনো দল ও দলনেত্রীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক শুভেন্দু ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ প্রসঙ্গে এদিন সৌগত রায় বলেন, ‘একটা সিনেমা দেখেছিলাম মিশন কাশ্মীর ৷ তার একটা ডায়লগ ছিল ৷ দুধ মাঙ্গো তো ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গো তো চির দেঙ্গে ৷ শুভেন্দুকেও বলি, মমতার পদ চাও তো চির দেঙ্গে ৷ লড়াইটা এই জায়গায় এবং লড়াইটা আমরা করব ৷ ’
শুভেন্দু ছাড়াও মোদি সরকারও এদিন ছিলেন সৌগতর নিশানায় ৷ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কৃষি আইন থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ ৷ সম্প্রতি মোদি থেকে শাহ, অবাঙালি বিজেপি নেতাদের মুখে কবিগুরু ৷ মোদিকে কটাক্ষ করে সৌগত রায় বলেন, ‘লম্বা দাড়ি রাখলেই কেউ রবীন্দ্রনাথ হয় না ৷ তাহলে তো রামছাগলও রবীন্দ্রনাথ হত ৷ রবীন্দ্রনাথ বললেই হয় না, বাঙালির মানসিকতা বুঝতে হয় ৷’ কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গেও এদিন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সৌগত রায় ৷ বলেন, ‘এই কৃষক আন্দোলনই আপনার সরকার উপড়ে ফেলবে ৷ আমরা কৃষকদের সঙ্গে আছি ৷ মমতার আমলে বাংলায় কৃষকের আয় তিনগুণ বেড়েছে | ’