#কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনব উদ্যোগ। চিরকালই উদাহরণ তৈরি করেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবারও সেই পথ দেখাচ্ছে যাদবপুরই। অনলাইন ক্লাসে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তারই আদর্শ উদাহরণ তৈরি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাম গ্রামাঞ্চলের যে পড়ুয়ারা স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট কানেকশনের অভাবে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছেন না, তাঁদের হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে কয়েকদিন আগেই একটি অনুরোধ গিয়েছিল, যেখানে শিক্ষক সংগঠন জুটা ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশজুড়ে গ্রাম গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। সেই কারণে তাঁদের হাতে স্মার্ট ফোন নেই, নেই ইন্টারনেটের কানেকশন। তাই তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন পড়াশোনা থেকে। সেই সমস্যা মেটাতেই এবার এগিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে এ এক আদর্শ উদাহরণ বলা চলে।
এই পরিকল্পনার জন্য পড়ুয়াদের দুটি স্তরে ভাগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। একটি স্তরে রাখা হয়েছে সেই সব পড়ুয়াদের যাঁদের হাতে স্মার্টফোন থাকলেও হাইস্পিড ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন ক্লাসে তাঁরা থাকতে পারছেন না। আরেকটি স্তরে রয়েছেন সেই সব পড়ুয়ারা যাঁদের হাতে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট কিছুই নেই। এই সব পড়ুয়াদেরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ৪০ লক্ষ টাকার একটি ফান্ড তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আবেদন করেছে বিভিন্ন বণিকসভা, প্রাক্তন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের কাছে সেই ফান্ডে দান করতে। সেই অর্থেই যাতে ওই সব পড়ুয়ারা পড়াশোনায় অংশ নিতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা।
কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। যেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে ৮০০ পড়ুয়াকে, যাঁদের অনলাইনে ক্লাস করতে সমস্যা রয়েছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, ‘অধ্যাপক ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন উপাচার্যের কাছে এসেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই তিনি বৃহত্তর অংশের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে তাঁদের সাহায্যে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটেক অভাবে পড়া পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে পারেন বা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজ্যেশ্বর সিনহা জানিয়েছেন, ‘অধ্যাপকরা একদিনের বেতন দান করছেন এই তহবিলে। পাশাপাশি প্রোজেক্ট ওভারহেডের কিছু টাকা পয়সা থাকে, সেটিও ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যে কেউ এই তহবিলে দান করতে পারেন। আশা করছি আমরা পড়ুয়াদের হাতে উপযুক্ত প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে পারব।’
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jadavpur University