SHALINI DATTA
#কলকাতা: ফার্স্ট ডে ফ্রার্স্ট শোয়ে ব্ল্যাকারদের গিজগিজে ভিড়। পছন্দের নায়ক নায়িকাদের ছবিতে ফ্যানদের পরিয়ে দেওয়া পেল্লাই সাইজের মালা। সে সব স্মৃতি এখন অনেকটাই ফিকে। গ্রামে-গঞ্জে তা-ও কিছুটা ছিল। কিন্তু কোভিড আর তারপরের এই লকডাউনে সোশ্যাল ডিসটেন্সের কড়াকড়ির কারণে সিনেমা হলের উপরে জারি থাকা লকডাউনের জেরে বাংলা থেকে সিনেমা হল কার্যত উঠে যাওয়ার জোগাড়। পরিস্থিতি যা, আর কয়েক মাস এমন অবস্থা চললে স্মৃতি থেকে হয়তো মুছেই যাবে সিনেমা হল। অন্তত হল মালিকদের বক্তব্য সে রকমই।
কারণ, একে হল থেকে এক পয়সা আয় নেই। তার ওপরে সিনেমা হল বজায় রাখা এবং কর্মচারীদের মাইনে দেওয়ার মতো পাহাড় প্রমাণ দায়িত্ব ঘাড়ে। এই অবস্থায় ক'দিন আর সিনেমা হল থাকবে, তা নিয়ে সন্দিহান হল মালিকেরা।
মোশন পিকচার্স অ্যাশোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, "মাল্টিপ্লেক্সের ধাক্কায় এমনিতেই খারাপ অবস্থা ছিল। এ রাজ্যে সাতশো হলের মধ্যে মাত্র দু'শো হল এখন খোলা রয়েছে। কিন্তু যে ভাবে চলছে তাতে অচিরেই সিনেমা হল খোলার অনুমতি না দিলে সব শেষ হয়ে যাবে। এ ভাবে বেশিদিন চালানো সম্ভব নয়।"
মেনকা সিনেমা হলের ডিরেক্টর প্রবীর রায় বলেন, "মিল্টিপ্লেক্স খোলার পরে ব্যবসা খারাপ হয়েছিল। কিন্তু তবু তো চলছিল। এখন তো বসে বসে শুধু হল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা খরচ করে যেতে হচ্ছে। অথচ, এক পয়সা রোজগার নেই। আমরা আশা করেছিলাম, আনলক ফোরে অন্তত হল খোলার অনুমতি দেবে। কিন্তু তা-ও না দেওয়ায় আমরা খুবই সমস্যায় পড়লাম।"
বসুশ্রী সিনেমা হলের এক কর্মচারী কমল বলেন, "পঁচিশ বছর ধরে এখানে কখনও এত খারাপ অবস্থা দেখিনি। আমরা পুরো বেতন তো পাচ্ছিই না। মেরেকেটে অর্ধেক পাচ্ছি। এ ভাবে কতদিন সংসার চালাতে পারব বা সিনেমা হলের ভবিষ্যৎই বা কী হবে, তা-ও জানি না।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cinema Hall, Coronavirus, Lockdown