#কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী৷ ইমন রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন ছাত্রী, একসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করেছেন, ছিলেন ছাত্র সংসদের সম্পাদকও৷ বসন্ত উৎসবের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত তিনি৷
ফোনে জানালেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত৷ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, ছাত্র সংসদেও ছিলাম, আমাদের সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব আয়োজিত হত৷ কিন্তু কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি৷ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এতটা কী করে বদলে গেল, বুঝতেই পারছি না৷ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করছি, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন৷ এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি খারাপ কেউ খারাপ করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া একেবারে উচিত নয়৷’
যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারাও তো পড়ুয়া! তাদের কী বলবেন? ইমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, ঠিক কী বলা উচিত৷ ওরা জানে না, এইসব কার্যকলাপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে খুব একটা ভাল উদাহরণ তৈরি করছে না৷ রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে এমনটা করা যায় না৷ এটা কেন মনে রাখছেন না তারা?’
শুধু ইমন নন, ফেসবুকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তনীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা সকলেই এই বাড়াবাড়ি সহ্য করতে পারছেন না৷ শালীনতার সীমা যে পড়ুয়ারা অতিক্রম করেছে, সে কথা মানছেন সকলেই৷
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে দোল উৎসবের কিছু ছবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়। ছবিগুলিতে শাড়ি পরা কিছু মহিলার খোলা পিঠে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে অশ্লীল শব্দে লেখা ছিল। শুধু তাই নয়, ছবিতে দেখা গেল মেয়েদের পাশাপাশি কয়েকজন ছেলের বুকেও অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে। যা ঘিরেই মূলত বিতর্ক শুরু হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।