#কলকাতা: শনিবার প্রোমোটারের তাণ্ডবে তছনচ হয়ে যায় কৈশালি দশদ্রোণের লীলাবতী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট। বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা। ঘটনার জেরে শনিবার থেকেই উত্তপ্ত গোটা এলাকা ৷
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এতকিছুর পরও পুলিশ কোথায় ছিল? বুধবার কৈখালিতে স্কুল ভাঙচুরের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বাগুইআটি থানার SI-কে ৷ কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর তমাল সরকারকে ৷ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ৷
শনিবার ছিল ক্লাস টেস্ট। প্রস্তুতি নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্কুলে হাজির পড়ুয়ারা। কিন্তু কোথায় স্কুল? এ তো ধ্বংস্তূপ। আক্ষরিক অর্থেই প্রোমোটারের লোকজন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে স্কুল। তছনচ ব্লকবোর্ড, টেবিল, বেঞ্চ, আলো, পাখা। এদিক-ওদিক ছড়ানো মদের বোতল। ঘটনার প্রতিবাদ জানায় স্কুলের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা ও তাদের অভিভাবকরা ৷
ঘটনার পর স্কুল আবার গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যায় কৈখালি দশদ্রোণের লীলাবতী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে। মেরামতির কাজে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে স্কুল। মঙ্গলবার অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের মেরামতির কাজ পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রীও। এই ঘটনায় তৃণমূলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট বুদ্ধদেব দাসকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ ৷