#কলকাতা: জোড়াবাগানে নাবালিকা খুনের ঘটনায় গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হচ্ছে। যোগ করা হচ্ছে ৩৪ নম্বর ধারা। সোমবার রণবীর তাঁতি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত রণবীর অভিযুক্ত রাম কুমারের পরিচিত। আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দারোয়ান রাম কুমার। পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধের কথা কবুল করে রাম। তাকে জেরা করেই উঠে আসে পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি রণবীরের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন বাইরে থেকে মদ খেয়ে এসে রাম কুমারের সঙ্গে ফের মদ্যপান করে রণবীর। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে রামের সঙ্গী ছিল সে-ও। যৌন নির্যাতনের পর ছুরি নিয়ে আসে রাম। নাবালিকার গলা কেটে দেয় রণবীর-ই। পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে রণবীর।
উত্তর কলকাতায় জোড়াবাগান এলাকায় একটি বহুতল থেকে উদ্ধার হয় ৯ বছরের শিশুকন্যার নিথর দেহ। শরীরে ছিল না পোশাক। গলার নলি কাটা। নৃশংশভাবে যৌন নির্যাতন করে করে খুন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। নটবছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন। তারপর খুন। দেহ ঘরে ফেলে রেখে ঘুরতে বেরোয় অভিযুক্ত। জোরাবাগান হত্যাকাণ্ডে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাবালিকা খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বহুতলের দারোয়ান।
তিন সন্দেহভাজনকে প্রথমে আটক করে জেরা করতে থাকে পুলিশ। এদের মধ্যেই একজন ওই বহুতলের দারোয়ান রাম কুমার ওরফে লম্বু। রাম কুমারের মোবাইল ফোনে পর্ন ক্লিপ মেলে। সেগুলির বেশিরভাগই চাইল্ড পর্নোগ্রাফি।ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও খুনের আগে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলে৷শিশুর পাকস্থলিতে বিরিয়ানি জাতীয় খাবার এবং চিপসও পাওয়া যায়৷