#কলকাতা: প্যাকেটে লেখা চাক্কি ফ্রেশ আটা। তার ভিতরে কোটি টাকার মাদক। হেরোইন। নয়া ও অভিনব এই কায়দায় এখন শুরু হয়েছে মাদক পাচার। এভাবেই শহর থেকে শহরতলি পাচার হয়ে যাচ্ছে কয়েক কোটি টাকার হেরোইন। এমনভাবে আটার প্যাকেটে ভরে হেরোইন পাচার হচ্ছে যা নিৰ্দিষ্ট খবর না থাকলে গোয়েন্দাদের পক্ষেও বোঝা কঠিন।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে সঠিক খবর ছিল নয়া এই পদ্ধতিতে মাদক পাচারের। সেই মতোই ওত পেতে বসে ছিলেন তারা। রবিবার নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে মানিকতলা এলাকায় একটি গাড়িকে আটক করেন তারা। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে প্রচুর 'চাক্কি ফ্রেশ' আটা লেখা প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বিভিন্ন নামের সেই প্যাকেট খুলে ভিতর থেকে আটার মতোই পদার্থ মেলে। সন্দেহজনক সেই পদার্থগুলি পরীক্ষা করে জানা যায় সেগুলি হেরোইন। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক জসিমুদ্দিন মন্ডলকে। ওই গাড়ি থেকে মেলে আড়াই কেজি হেরোইন। যার বাজারদর প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
ধৃতকে জেরা করে এসটিএফ জানতে পেরেছে, এর আগে বিভিন্ন পদ্ধতিতে হেরোইন পাচার করতে গিয়ে এই চক্রের বিভিন্ন পান্ডা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই নয়া এই পদ্ধতি 'আবিষ্কার' করেছে তারা। খাবার জিনিস হিসেবে আটার সঙ্গে রঙের কিছুটা মিল রয়েছে হেরোইনের। তাই আটার প্যাকেটে ভরে মাদক পাচার 'নিরাপদ' বলে মনে হয়েছে তাদের। আটার প্যাকেটে করে আগেও মাদক পাচার হয়েছে কিনা সে বিষয়ে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।
এসটিএফের এক কর্তা জানিয়েছেন, "ধৃত জসিমউদ্দিন নদিয়া জেলার কুখ্যাত মাদক পাচারকারী। কলকাতা থেকে জেলাতে ওই মাদক পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কোথা থেকে হেরোইন আনা হয়েছিল সে বিষয়ে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।" সূত্রের খবর, 'চাক্কি ফ্রেশ' আটা লেখা এই প্যাকেটে করে হেরোইন নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে আরও ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে 'পুড়িয়া' বানিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। রীতিমতো এজেন্টদের মারফত এগুলি বিক্রি করা হয়। ধৃত জসিমুদ্দিনই এই চক্রের পান্ডা নাকি আরও বড় মাথা এই চক্রে জড়িয়ে রয়েছে তার খোঁজ শুরু হয়েছে ।পাশাপাশি আটা লেখা এই প্যাকেটে নিখুঁতভাবে কিভাবে ও কোথায় হেরোইন ভরা হয় সে বিষয়েও খোঁজ শুরু করা হয়েছে।
SUJOY PALনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।