#কলকাতা: করোনার জন্য এবারে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, মানস সরবর, কৈলাস যাত্রা বন্ধ ছিল। যাঁদের প্ল্যান ছিল এবারে সেই সব জায়গায় যাওয়ার তাঁদের প্ল্যান বাতিল করতে হয়েছে। এমনকি অনেকদিনের জন্য বাইরে কোথাও যেতেও অনেকে বেশ ভয় পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলাই যায়, বাংলার মানুষের কাছে তীর্থেস্থানে বেড়াতে যাওয়াটা এখন বেশ সমস্যার। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই এবারে বদ্রীনাথ মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ সাজাচ্ছে উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের মণ্ডপ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী বিপ্লব রক্ষিত। প্রতিমা গড়ছেন কুমোরটুলির শিল্পী মিন্টু পাল।
মহালয়া এল বলে। হাতে আর সাত দিনও নেই। করোনা আবহে এবারে পুজোর জৌলুশ অনেকটাই ফ্যাকাসে। কিন্তু যাঁদের মনে পুজো, প্রাণে পুজো। শয়নে, স্বপনে, জাগরণে পুজো। তাঁরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যে নিজেদের কাজের ফাঁকে অপেক্ষা করছেন কতক্ষণে সরকারী নির্দেশিকা এসে পৌঁছবে। তারপরেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে পুজোর প্রস্তুতি। যদিও শহরের কোনও পুজো কমিটির কর্তারাই এবারে রিস্ক নিতে রাজি নন। তাই পুজো হলে, তা যে অন্যান্যবারের মতো করে হবে না, তা তাঁরা আগেভাগেই জানিয়ে দিচ্ছেন।
অন্যান্যবার যেখানে কোন মণ্ডপে কত ভিড় হবে, তা নিয়ে মুখিয়ে থাকেন সকলে। এবারে সেই সব প্রতিপক্ষ পুজো কমিটিই চাইছেন, মানুষ আসুন, তবে নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে নয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকুক। মাস্ক-গ্লভস-স্যানিটাইজার নিয়ে তবেই বাইরে বেরোন, নচেৎ নয়। ঠিক এই কথা মাথায় রেখেই আবার ছোট থেকে বড় বহু কমিটি মণ্ডপ এমনভাবেই তৈরি করবেন, যাতে দর্শক বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন।
এবারে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ৮৫ তম বর্ষ। ২০১৯ সালে সোনার দুর্গা বানিয়ে শহরবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল লেবুতলা পার্ক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন সোনায় মোড়া দুর্গা প্রতিমা দেখতে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "করোনা বিধি মেনেই পুজোর সব আয়োজন করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য সমস্ত সুরক্ষাবিধি যথাযথ মানা হবে।" উদ্যোক্তাদের দাবি, বদ্রীনাথের মন্দির ভারতের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ফলে করোনা সংক্রমণের ভয় না থাকলে এবারেও লক্ষ লক্ষ মানুষ লেবুতলা পার্কের মণ্ডপে ভিড় জমাতেন।