কলকাতা: বামের সমর্থনে কংগ্রেসের হাতে সাগরদিঘি। তারপরেই একজোট হওয়ার ডাক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। রবিবার শহিদ মিনারের সভায় কৌস্তভ বাগচী- রাহুল সিনহার হ্যান্ডশেক। কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। তবে কি প্রশ্নের মুখে মোদি বিরোধী জোট? জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি সম্পর্কে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে হামেশাই শোনা যায় জগাই- মাধাই -গদাই। শুধুমাত্র সাগরদিঘির ফলাফল সামনে আসার পরেই নয়, এ রাজ্যে তৃণমূলকে সরাতে বিরোধীদের আঁতাতের অভিযোগ আগেই উঠেছে। সাগরদিঘিতে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের জয়। পরোক্ষে নাকি সমর্থন বিজেপির। তারপর সেই অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্যে। অধীর চৌধুরী বলেন, ' বামেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। বিজেপিরও কিছু লোক ভেবেছেন কংগ্রেস বেস্ট অপশন। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন - Bizzare News : মর্মান্তিক, মৃত মা! শিশু সন্তান ভাবল মা ২ দিন ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে
এই আবহে রবিবার বিজেপির সৌমিত্র খাঁর বার্তা। উস্কে দিয়েছে নয়া বিতর্ক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন,'জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে সাগরদিঘিতে। আমার কথা হচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা সবাই। আমরা বলব তৃণমূলকে হারাতে সবাই এক যোগে ভোট দিন'। সৌমিত্র যেদিন একযোগে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন, সেদিনই বিজেপির রাহুল সিনহার সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গেল কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচীকে। দু’জনের মধ্যে হ্যান্ডশেকের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন - Football Gossip: কচি গার্লফ্রেন্ডে মন মজেছে রোনাল্ডোর! ১৪ বছরের ছোট মেয়েকেই কী চতুর্থ ঘরণী করবেন...
যা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন,'এটাই তো আমরা বলার চেষ্টা করেছি যে নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে কংগ্রেস সিপিএম আর বিজেপির মধ্যে অশুভ আঁতাত হয়েছে'। যদিও সাগরদিঘিতে কংগ্রেসকে সমর্থনকারী বামেরা নীতিগত প্রশ্নে খানিকটা সাবধানী।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়,'মডেলটা হচ্ছে বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবাইকে একজোট হতে হবে'। পাল্টা রাজনৈতিক চাল এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য,' যতক্ষণ না সিপিএম- কংগ্রেস বলবে, নো ভোট টু মমতা, ততদিন এদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রকাশ হতে পারে না। আগে ওরা বলুক 'নো ভোট টু মমতা', তারপর মানুষের উপরই ছেড়ে দিন যে বাংলার মানুষ কাকে ভোট দেবে, কাস্তে হাতুড়ি, হাত নাকি পদ্ম ফুলে'।
চব্বিশে লোকসভার মহারণ। তারআগে সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস হাতে হাত। কংগ্রেসের মুখে বিজেপির প্রচ্ছন্ন সমর্থনের স্বীকারোক্তি। এতে যে চব্বিশে মোদি বিরোধী জোটে প্রভাব পড়বে, সেকথাও বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'বাংলাতেও সম্প্রতি কংগ্রেসের যা ভূমিকা, তাতে এরা দিল্লিতে বিজেপি বিরোধিতার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে'। এমনিতেই জাতীয় ক্ষেত্রে জোট ধর্ম পালনে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এবার সাম্প্রতিক সমীকরণে চব্বিশে মোদি বিরোধী জোটের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বিজেপি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যস্তরে কংগ্রেস আর তৃণমূলের মধ্যে 'হাইফেন' হয়ে থাকতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
Venkateswar Lahiri
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।