SUJOY PAL
#কলকাতা: দোকানের শাটার ভেঙে চুরি এখন আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু কসবায় মদের দোকানে চুরি করে যেভাবে পালাল চোরের দল, সেরকম ঘটনা সম্প্রতি রাজ্যের কোথাও দেখা যায়নি।
রবিবার মধ্য রাতে কসবা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি মদের দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। দামি গাড়িতে চড়ে মদের দোকানে আসে চোরের দল। দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে দু'লক্ষ টাকা ও বেশ কয়েকটি মদের বোতল নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসে। যার মধ্যে বেশিরভাগই স্কচের বোতল।
চুরির খবর পেয়ে দোকানের সামনে পৌঁছেও যায় পুলিশের গাড়ি। কিন্তু চোরদের দাপটে গাড়ি থেকে নামতেই পারেনি পুলিশ। কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই চোরেদের পালিয়ে যাওয়া দেখতে হয় কসবা থানার পুলিশকে। গভীর রাতে বাইপাসের কাছের ওই মদের দোকানে একটি এসইউভিতে চেপে আসে চোরেরা। দোকানের পাশে গাড়ি পার্ক করে তারা। দুজন গাড়ি থেকে নেমে দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তারপর ক্যাশবাক্স থেকে দু'লক্ষ টাকা ও একাধিক স্কচের বোতল নিয়ে বেরিয়ে আসে । চুরি করে বেরনোর মুহূর্তেই কসবা থানার পুলিশের নাইট পেট্রোলিং টিমের সামনে পড়ে যায় চোরেরা। পুলিশ কিছু করার আগেই নিজেদের এসইউভিতে উঠে পড়ে চোরেরা। চোর ধরতে পুলিশের দল গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করলেও চোরেরা গাড়িতেই আটকে দেয় পুলিশকে। গাড়ির দরজা খুলে বেরতে গেলে চোরেরা নিজেদের গাড়ি ব্যাক করে পুলিশ গাড়িতে বারবার ধাক্কা মারতে থাকে। বারবার ধাক্কা মেরে গাড়ি ঘুরিয়ে বাইপাসের দিকে হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
চোরদের কাছে হাইস্পীড এসইউভি থাকলেও পুলিশের কাছে ছিল প্রিজন ভ্যান। ফলে বেশিদূর ধাওয়া করতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু শহরের একাধিক মোড়ে রাতে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও কেন চোরদের গাড়ি আটকানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়্যারলেস সিস্টেমে জানিয়েও কেন গাড়ি আটকানো গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশমহলে। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, 'বর্ষবরণ উদযাপন করতেই হয়ত মদ চুরি করতে এসেছিল চোরেরা। তাই বাছাই করে স্কচ নিয়ে গিয়েছে।' ইতিমধ্যেই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিসিটিভির সূত্রে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।