#কলকাতা: ফোনে একথাই বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ৷ প্রণব’দা-র সেদিনের একটা ফোনেই শ্রীলঙ্কার পক প্রণালী পার করার অনুমতি পেতে সাহায্য করেছিলেন পদ্মশ্রী সাঁতারু বুলা চৌধুরীকে।
দু- দুবার ইংলিশ চ্যানেল সহ বুলা পার করেছেন সাত সমুদ্র। কিন্তু পক প্রণালী পার হতে গিয়ে থমকে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেসময় শ্রীলঙ্কার অশান্ত পরিবেশের কারণে পক প্রণালী পার হওয়ার অনুমতি পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা বলতেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। আজ তাঁর মৃত্যুতে মন খারাপ বুলা চৌধুরীর।
পুরনো দিনের সব কথাই আজ মনে পড়ছে পদ্মশ্রী সাঁতারু বুলার । মনে পড়ছে পক প্রণালী পার হওয়ার জন্য যখন দিল্লিতে ছুটে বেড়িয়েছেন, তখন সাহায্য না পেয়ে নিজের স্বপ্ন বাতিল হতে বসেছিল তাঁর। সেসময় প্রণব বাবু ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাত দুপুরে প্রণব বাবুর দিল্লির বাড়িতে গিয়ে দেখা করে সবকিছু বলেছিলেন বুলা চৌধুরী। বলেছিলেন, দাদা আমাকে পক প্রনালী পার হওয়ার অনুমতি যোগাড় করে দিতেই হবে। যদিও ২০০৪ সালের পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকমই ছিল। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কায় তামিল টাইগারদের হামলার মুখে পড়ার ভয় ছিল। সেজন্যই দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তর এক প্রকার বুলা চৌধুরি অনুমতি বাতিলই করে দিয়েছিল।
সেসময় সমস্যা মেটাতে দিল্লি গিয়ে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ধরেন বুলা চৌধুরী। প্রণববাবুই ব্যবস্থা করেন। প্রণব বাবুকে নিয়ে আজ আরও অনেক ঘটনার কথাই মনে পড়ছে বুলার। মনে পড়ছে প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন পদ্মবিভূষণ সম্মান পান, তখন বুলা চৌধুরী পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী। তখনও দেখা হয়েছিল। নিজের লেখা বইও বুলা তুলে দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে। যে বই এক নিশ্বাসেই তিনি পড়ে নিয়েছিলেন। আজকে তাঁর চলে যাওয়ার দিনে সেসব কথা খুব খুব মনে পড়ছে বুলা চৌধুরীর। বুলার কথায়, যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিনই মনে থাকবে প্রণবদার এইসব স্মৃতি।
SUJIT BHOWMIK