#কলকাতা: কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপ এর ফলে, দিনের যেকোনও সময়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল অবধি ভারী বৃষ্টি হয় কলকাতা সহ জেলাগুলোতে। প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টির ফলে শহরের পুরনো বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে পড়ে। এর আগেও ওই বিপজ্জনক বাড়ির বলি হয়েছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তের অনেকেই। বৃহস্পতিবার ভোরে বলি হলেন এক বৃদ্ধা।
৫৫ এফ বেলেঘাটা মেইন রোড। বাড়িটি ১০০ বেশি বছরের পুরনো। কলকাতা কর্পোরেশন বছর দেড়েক আগে বিপজ্জনক বাড়ি বলে বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে যায়। গতবছর স্থানীয় কাউন্সিলর নিজে এসেছিলেন ওই বাড়ির চারদিক পরিষ্কার করবার জন্য। সেই সময় ওই বাড়িতে যে সাহা পরিবার থাকে ,তারা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল ভোর পৌনে ছটা নাগাদ, বাড়িটির সামনের অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ওই সামনের অংশে থাকতেন রাজেশ সাহা (৪৫), তার মা প্রতিমা সাহা (৭৪) ও ছেলে ঋষভ সাহা(১৮)।বিশেষ কাজে রাজেশের স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে ছিলেন গত রাতে। ঘটনায় রাজেশ গুরুতর আহত হয় এবং বিল্ডিং ভেঙে পড়ে সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যান রাজেশের মা প্রতিমা দেবী।
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকল এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশ এসে ,রাজেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সকাল পৌনে নটা নাগাদ প্রতিমা দেবীর মৃতদেহ ধ্বংস স্তুপ এর ভেতর থেকে বের করে আনে উদ্ধারকারীরা। ঋষভ বাড়ির পেছনের দিকে ঘরে ছিল বলে, তার কোনও আঘাত লাগেনি।
এই বাড়িটি দীর্ঘদিন কোনভাবে মেরামতি করা কিংবা দুর্বল অংশ ভেঙে ফেলার মতো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। শরিকি গন্ডগোলে বাড়িটি এই অবস্থাতে দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। আমাদের দেশে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা অর্থাৎ সিভিল মামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকে। যার সুরাহা সহজে হয় না। দু'পক্ষের জেদের ফলে, আজ সকালে প্রতিমা দেবীকে মরতে হল। যেহেতু আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। সেহেতু কলকাতা কর্পোরেশন বাড়িটিকে ভাঙ্গা বা পুনর্নির্মাণের কোন কিছু করতে পারেনি এবং অনুমতি দিতে পারেনি।যার ফল হল একজনের মৃত্যু। কলকাতা শহরে এরকম বহু বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে,যেগুলোর আদালতে মামলা চলার ফলে,এখনও খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে।সেখানেও যেকোন মুহুর্তে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন।
Sanku Santra
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।