হোম /খবর /কলকাতা /
তোলপাড় করা নিয়োগ দুর্নীতি! কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা? প্রকাশ্যে পরিসংখ্যান

SSC Scam: তোলপাড় করা নিয়োগ দুর্নীতি! কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কত টাকা? প্রকাশ্যে হাড়হিম করা পরিসংখ্যান

এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

  • Share this:

অর্পিতা হাজরা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্রমেই বাড়ছে টাকার অঙ্কের পরিমাণ। এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির অঙ্কের সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানে না।

এখনও পর্যন্ত কে কত সম্পত্তি ও নগদের মালিক?

নিয়োগ দুর্নীতির ৫৬ কোটির সম্পত্তির মধ্যে  প্রায় আট কোটি মানিক ভট্টাচাৰ্য ও তাঁর ঘনিষ্টর আত্মীয়র সম্পত্তি, যা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সম্পত্তির পরিমাণ- ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা৷ ইডি সূত্রে খবর, ২০১৮-২২ সালে  মানিকের কাছে গিয়েছিল ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।মহিষবাথানে অফিসে তাপস মণ্ডল মারফত বিভিন্ন চাকরি প্রাথীদের থেকে টাকা আসতো মানিক ভট্টাচাৰ্যর কাছে। অযোগ্য দের চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল টাকার মালিক মানিক। শুধু তাই নয় ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বিদেশে মানিক, তাঁর স্ত্রী ও পরিবার একাধিক বার গিয়েছেন অথচ বাঙ্কের থেকে টাকা খরচ হয়নি।

আরও পড়ুন:'পালিয়ে যাও, ইডি আসছে!' অয়নের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো রহস্যময়ী কে? শুরু খোঁজ

মহিষবাথানের অফিসে মানিক কোন সালে কত টাকা পেয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য -

২০১৮-২০ সালে  মানিক ভট্টাচাৰ্য পেয়েছেন ৩৫৩ কলেজর ৯৫৪৯ জন প্রাথীদের ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৯-২১ সালে মানিক ভট্টাচাৰ্য পেয়েছেন ৩২২ কলেজর ১২৮২৪ জন প্রাথীদের থেকে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২০২০-২২ সালে মানিক ভট্টাচাৰ্য ৩৬০ টি কলেজ থেকে ১৯০৯১ জন প্রাথীদের থেকে পেয়েছেন ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।

অন্যদিকে,কুন্তল ঘোষের 2 কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কুন্তলের জমি, সম্পত্তি মিলে এক কোটি ও নগদ ( বনি + সোমার ফেরত দেওয়া টাকা) আরও এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় - অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের  ৫৪ কোটি টাকার সম্পত্তি ও নগদ পায় ইডি৷ এর মধ্যে ৪৯ কোটি টাকা নগদ মেলে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে।  ৫ কোটি টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছে। এছাড়াও শ্বেতার রয়েছে হন্ডা সিটি গাড়ি, চুঁচুড়ায় একটি ফ্ল্যাট । ইডি আদালতের কাছে দাবি করে, অয়ন শীল ২০১২-১৪ টেটের ক্ষেত্রে কুন্তলের  মাধ্যমে একশো কোটি টাকা তুলেছিলেন৷ বেআইনি নিয়োগে কুন্তল  ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলও যুক্ত। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন ধীরে ধীরে  নিয়োগ দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। অয়ন ও ঘনিষ্ঠদের নামে রয়েছে ফার্ম হাউস,  ফ্ল্যাট, পেট্রোল পাম্প, জমি।

অন্যদিকে, শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের এখোনও মোট ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত হরয়েছে। এগুলো ছাড়াও শান্তনু, তাঁর স্ত্রী ও সংস্থার নামে রয়েছে বাগান বাড়ি , রিসোর্ট, হোম স্টে, জমি, হোটেল। নিয়োগ দুর্নীতি টাকা ও সম্পত্তির পরিমাণ সত্যিই এভারেস্টকে ছাড়িয়ে যায় কিনা, সেটাই এখন দেখার৷

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: ED, SSC Scam