#কলকাতা: প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দিকে-দিকে প্রচারেও নেমে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। প্রত্য়েকের মুখেই জয়ের দাবি। কিন্তু 'আমি জিতছিই'-এই কথাটি বলার জন্য় কার্যত নিজের জীবন বাজি রাখলেন রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তাপস চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী দলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা মাত্রই অনুগামীদের নিয়ে পথে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। আর শনিবার সকালে তাপস দাবি করেন, 'জয়ের বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি জানিয়ে দিয়েছি, ২ মে জিতে আপনাকে সার্টিফিকেট দেব। আর তা যদি না হয়, তাহলে ৩ তারিখ আপনার বাড়ির সামনে আমার ডেডবডি থাকবে।'
এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি একদা সুভাষ চক্রবর্তীর 'কাছের লোক' তাপস চট্টোপাধ্যায়। বলেন, 'তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি তৃণমূলের একজন প্রার্থী। আমি মাটির ছেলে। আমি সল্টলেকের বাসিন্দা নই। তবে এখানে আমি জন্মেছি এবং বড় হয়েছি। আমি আমরা সবাই মিলে সরস্বতী পুজো, দুর্গাপুজো, ঈদ ও মহরম পালন করি। এই বারের ভোটে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে লড়বে এলাকার মানুষ। গুজরাতের মানুষ বাংলা শাসন করবে না। বাংলার মানুষই তা করতে দেবেন না।'
প্রয়াত সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর মতোই রাজারহাট-গোপালপুর-সল্টলেক এলাকায় জনপ্রিয় তাপস চট্টোপাধ্যায়। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায় টানা তিনবারের চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় রাজনীতির বাইরেও বহু মানুষের নানা প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বহু গরিব মানুষকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবেও এলাকায় খেলার উন্নয়নে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর। ২০১৫ সালে বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান তাপস। ভরসা করে তাঁকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কঠিন লড়াইতেও তাপসের উপর ভরসা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণে জয়ের জন্য রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়তে চান তিনি।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই অবশ্য দিকেদিকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্য়েই বিজেপিতে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনালি গুহ, দীনেশ বাজাজ, স্মিতা বক্সীর মতো হেভিওয়েট নামও। টিকিট না পেয়ে পথে নেমেছেন আরাবুল ইসলামের মতো নেতাও। তাপস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে অবশ্য তাঁর এলাকায় এখনও কোনও বিক্ষোভের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। সেই কারণেই এবার পুরোদমে জয় ছিনিয়ে আনতে প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।