#কলকাতা: দু'দিন ধরে ধরে লোকাল ট্রেনের দাবিতে ধুন্ধুমার সোনারপুর-মল্লিকপুরে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যেতেই ফের নড়েচড়ে বসছে রেল। সূত্রের খবর, আজ আরও একবার লোকাল ট্রেন (Local Train Service) নামাতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিতে চলেছে রেল।
সোনারপুর রেল স্টোশনে দুদিন ধরে অবরোধ করছে নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের মূল অভিযোগ রুজিরুটিতে টান পড়ছে ট্রেনে উঠতে না পারায়। টেম্পো বা অন্য গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় পৌঁছতে মোটা টাকার অর্থদণ্ড দিতে হচ্ছে। রয়েছে পুলিশি ধড়পাকরের ভয়ও,তারা চাইছেন স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে। । রেল আধিকারিকরা বলছেন, ঠএই আশঙ্কার কথা আগেই আমরা রাজ্যকে জানিয়েছিলাম। পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে রাজ্যকে বলা হয়েছিল লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে। রাজ্য যাদেরকে রেলে চড়ার অনুমতি দিয়েছিল এ যাবৎ আমরা তাদের অনুমতি দিয়েছি।
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ ভাবে স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়ে ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ সামলাতে জিআরপি, আরপিএফ-এর নাভিশ্বাস উঠছে। কম ট্রেনে বেশি লোক উঠলে থাকছে করোনার আশঙ্কাও। তাই জন্যেই তারা ফের ট্র্যাকে ট্রেন নামানোর অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য থেকে। যদিও বেশ কিছু ইন্টারসিটি চালু হলেও লোকাল ট্রেন চালাতে খানিকটা দ্বিধান্বিতই রাজ্য।
রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হাওড়া, আসানসোল, মালদা কোথাও সমস্যা নেই। একমাত্র সমস্যা হচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনেই। আসলে যে ভাবে যাত্রী বাড়ছে তাতে স্টাফ স্পেশাল দিয়ে সম্ভব নয়। আর সেই ট্রেনে অবৈধ যাত্রীদের উঠতে না দিলে অশান্তির আশঙ্কাও থাকছে। ব্যহত হচ্ছে জরুরি পরিষেবা।
রয়েছে আর্থিক ক্ষতির প্রশ্নও। একদিকে যেমন ট্রেন না পেয়ে নিত্যযাত্রীদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তেমনই ক্ষতির মুখে পড়ছে রেলও। রেল সূত্রে খবর, শুধুমাত্র হাওড়া ডিভিশনে এপ্রিল মাসে প্রতিদিন ৫৬ লক্ষ টাকা আয় হত। এখান থেকেই রেলের দৈনিক ক্ষতির পরিমাণটা বোঝা সম্ভব।আপাতত হাওড়া- শিয়ালদহের সবকটি শাখায় সব মিলে ৩৪২টি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলে। ট্রেনগুলিতে ওঠার অনুমতি রয়েছে শুধুমাত্র রেল কর্মীদের আর জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। রেল চায় অবিলম্বে পরিষেবা বাড়াতে হস্তক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Local Train