#হুগলি: ১৯৮৩ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। ছেদ পড়লই সেই সম্পর্কে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উ প্রবীর ঘোষাল। ইস্তফা দিলেন কোর কমিটির সব পদ থেকেই। যদিও বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না প্রবীর ঘোষাল। দল ছাড়ার বিষয়েও মৌনতাই অবলম্বন করছেন।
সাংবাদিকদের সামনে প্রবীরবাবু এদিন বলেন, "এখনই দল ছাড়ছি না। আমাকে হারানোর জন্য দলে একটি চক্র তৈরি হয়েছে।" প্রবীরবাবুর অভিযোগ নবগ্রামে হীরালাল কলেজেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা বৈশালী ডালমিয়ার সুরেই তিনিও বলছেন, এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারছি না। ভূয়ষী প্রশংসা করলেন শুভেন্দু অধিকারীরও। প্রবীরবাবুর বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনেক নেতা শুনছে না।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। দলে তার ঘনিষ্ঠ নেতা-মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। রাজীব বন্দোপাধ্যায় মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে জল্পনা বেড়েছে তিনি বিজেপি'তে যোগ দিতে পারেন। প্রবীর ঘোষালও কি সেই পথেই পা বাড়াচ্ছেন প্রশ্ন রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। প্রসঙ্গত গত কালই পুরশুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রবীর। আর সেই সভাতেই বেসুরোদের কড়া বার্তা শুনিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কি প্রবীর ঘোষালও এবার বহিস্কৃত হবেন? সংশ্লিষ্ট মহল বছে কেবল সময়ের অপেক্ষা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুই আসন জিতলেও, হুগলি লোকসভা আসনে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। বহু বিধানসভা আসনে পিছিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটে এই খারাপ ফলের কারণ হিসাবে উঠে আসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব অভিযোগ। যা মেটাতে কখনও তৃণমূল ভবনে, কখনও আবার কালীঘাটে ডেকে পাঠিয়ে মিটিং করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। উপরমহল থেকে একসাথে চলার বার্তা দিলেও আদপে তা যে হয়নি, খোদ দলনেত্রীর সভায় উত্তরপাড়ার বিধায়ক অনুপস্থিত থাকায় তাই স্পষ্ট হয়েছিল। প্রসঙ্গত এদিন বৈশালীরও প্রশংসা করলেন প্রবীর। তাহলে কি নিজে দল না ছেড়ে অপেক্ষা করছেন প্রবীর? তাকিয়ে রাজ্য।