#বর্ধমান: একদিনেই আক্রান্ত ৫১ জন! আর এই খবর চাউর হতেই ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দারা। তাঁরা অনেকেই এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে বলে মনে করছেন। হঠাৎ করে একসঙ্গে এতো বাসিন্দা আক্রান্ত হওয়ার জেরে এ দিন সকাল থেকেই রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।সেই সঙ্গে ঘরের বাইরে পা রাখলেই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারে আক্রান্ত একান্ন জনের অধিকাংশই হারগ্রাভ এবং বামশোর গ্রামের বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছিলেন। এতদিনে তাদের সংস্পর্শেও এসেছেন অনেকে। সেসবের জেরেই এই সংক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। হারগ্রামে শিলিগুড়ি থেকে আসা দুজনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাদের দুজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের দূরত্ব বজায় রেখে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলে তাদের লালা রসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
একদিনে একান্ন জনের করোনার সংক্রমণ মেলায় নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ ঘরে থাকলে চিহ্নিতদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘরের বাইরে বেরোলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন বেশ কিছুদিন আগেই। তাই এতদিন পর তারা আবার কিভাবে করো না আক্রান্ত হলেন বা এলাকায় এইভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লো কিভাবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, এলাকায় আরও বেশি করে পরীক্ষা হওয়া জরুরি। দ্রুত পরীক্ষা করে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের চিহ্নিত করা না গেলে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।