#কলকাতা: সকলের হাতে হাত। মিলে সুর মেরা তুমহারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডের মঞ্চে একজোট ভারত। লক্ষ্য একটাই। মোদি সরকারকে হঠানো। সেই লক্ষ্যেই সুর চড়ালেন বিজেপি-বিরোধী সব দলের নেতারা। বুঝিয়ে দিলেন, ভোটের জেতার পর ঠিক করা যাবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের এক্সপায়রি ডেট এসে গিয়েছে: মমতা
মমতার ব্রিগেড মোদি বিরোধী মহাজোটের মঞ্চ। মোদি সরকারকে হঠাতে অনেক দিন আগেই একের বিরুদ্ধে একের লড়াাইয়ের ফরমুলা বাতলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সেই ফর্মুলাতেই সায় দিলেন বাকি সব দলের নেতারা।
বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। বিরোধী ঘরে অশান্তি তৈরি করতে বার বার তারা প্রশ্ন করছে, এই মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? ব্রিগেডের মহাজোটের মঞ্চ অবশ্য এক সুরে বুঝিয়ে দিল, পাখির চোখ, আগে জেতা, পরে নেতা।
আরও পড়ুন: রথযাত্রার নামে হিংসা ছড়াতে দেব না, ওটা ফাইভ স্টার রথ: মমতা
একেক রাজ্যের একেক দল। রাজ্যের রাজনীতিতে একে হয়ত অন্যের প্রতিপক্ষ। কিন্তু, সে সব এ দিন মহাজোটের মঞ্চে উধাও। দিল্লিতে আম আদমির পার্টির প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। এ দিন ব্রিগেডে কিন্তু, সেই আপের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথার সুর ধরে মোদিকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। এক সুরে সকলের পাখির চোখ এক।
সকলেরই নিশানায় মোদি সরকার। তার সঙ্গে জোটের বার্তা। মিলে সুর মেরা তুমহারা।
আরও পড়ুন: 'এক নয়, ৩ জন বিধায়ক, ওঁকে বলুন জেনে বলতে,' মোদিকে ভুল শুধরে দিলেন মমতা
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক কালে, বিভিন্ন উপনির্বাচনে যখনই বিরোধীরা একজোট হয়ে লড়েছে, তখনই বিজেপি হেরেছে। তা সে উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর হোক বা গোরক্ষপুর। এই প্রেক্ষাপটে, এদিন ব্রিগেডে যে বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখা গেল, তা গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়াবে। যদিও বিজেপির পালটা দাবি, উপনির্বাচন আর লোকসভা ভোট এক নয়। বিরোধীরা যতই জোট বাঁধুক, শেষ হাসি নরেন্দ্র মোদিই হাসবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lok Sabha elections 2019, Mamata Banerjee, TMC Brigade Rally