হোম /খবর /কলকাতা /
'কাউকে গার্ড দিতে যাবে না তৃণমূল', চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া কুণালের

Primary TET Scam|| Kunal Ghosh:'কাউকে গার্ড দিতে যাবে না তৃণমূল', চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া কুণালের

গ্রেফতার চন্দন, কুণাল ঘোষ

গ্রেফতার চন্দন, কুণাল ঘোষ

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন ধরেই উঠে এসেছিল এই ব্যক্তির নাম।

  • Share this:

কলকাতা: 'যাঁরা অপরাধ করেছেন তাঁদের গ্রেফতার করুক। এতে তৃণমূলের কিছু বলার নেই।' বাগদার চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারের ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

এদিন কুণাল বলেন, "কারও নামে অভিযোগ এসেছে। কেউ গ্রেফতার হয়েছে। এখানে দল তৃণমূল কংগ্রেস জড়াবে না৷ এখন সিবিআইয়ের ক্রেডেবিলিটি ডাউন করা হচ্ছে।" তাঁর আরও বক্তব্য, "কোনও দুর্নীতি তৃণমূল করতে বলেনি। কাউকে গার্ড দিতেও তৃণমূল যাবে না। যাঁরা অপরাধ করেছেন তাঁদের গ্রেফতার করুক। এতে দলের কিছু বলার নেই।"

আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট গ্রেফতার, জালে বাগদা রঞ্জন! এবার আরও 'বড়' খোঁজ

সবশেষে তাঁর কুণাল জানান,  "কিছু ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে সেটা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আমরা বলছি, এসব করে ভাল কাজকে ছোট করবেন না।"

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন ধরেই উঠে এসেছিল এই ব্যক্তির নাম। নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ার কারণেই শুক্রবার চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র নজরেও ছিল বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রঞ্জনের খোঁজ মিলছিল না। একাধিকবার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি তাঁর। দিনকয়েক আগে বাগদায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও নোটিস টাঙিয়ে দিয়ে আসেন ইডি-র আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে বড় পদক্ষেপ! পঞ্চায়েতের আগে পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল

ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে জানা যায়, বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের প্রথম শোনা যায় চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার সৎ রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী, বাগদায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়েও তার সন্ধান পাননি গোয়েন্দারা। পরে গত বছর জুলাই মাসে সিবিআই চন্দনের হদিস পায়। তাঁকে একাধিক বার জেরাও করেন গোয়েন্দারা। কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরাও দেন তিনি। এবার সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি।

Published by:Satabdi Adhikary
First published: