কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটির সম্পত্তির মধ্যে প্রায় ৮ কোটি টাকাই মিলেছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এমনটাই জানিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে প্রায় ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছিল ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের অফিস মারফত বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেও নাকি টাকা যেত মানিক ভট্টাচাৰ্যের কাছে। শুধু তাই নয়, ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি টাকায় বিদেশও নাকি ঘুরেছেন মানিক ও তাঁর পরিবার। মানিক, তাঁর স্ত্রী ও পরিবার নাকি একাধিকবার বিদেশে গিয়েছেন, অথচ তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা খরচ হয়নি। বিদেশভ্রমণের কোনও হিসেবই নাকি মানিক ইডি-কে দিতে পারেননি বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, মহিষবাথানের তাপস মণ্ডলের অফিস থেকে মানিক কোন সালে কত টাকা পেয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে ইডির হাতে। ২০১৮-২০ সালে মানিক পেয়েছেন ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৯-২১ সালে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২০২০-২২ সালে মানিক পেয়েছেন ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছে ইডি। ইডি দাবি করেছে, মানিক ভট্টাচার্যের একজন ভাই রয়েছেন। নাম, হীরালাল ভট্টাচার্য। তাঁরও অনেক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, কালো টাকা সাদা করতে এই হীরালালের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টও নাকি ব্যবহার করতেন মানিক। হীরালাল ইডি-কে জানিয়েছেন, "যে আমার দুর্ভাগ্য, আমি মানিক ভট্টাচার্যর ভাই। জোর করে আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।" ইডি পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, একজন বাবার উচিত তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে রক্ষা করা। কিন্তু, ওঁর জন্যেই ওঁর স্ত্রী ও ছেলে জেলে রয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Primary TET