#কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে তৃণমূল বিধায়ক ড. মানিক ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছিল মানিকের বিরুদ্ধে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে তাঁর পদ থেকে অবিলম্বে সরাতে হবে। তাঁর স্থলে কে আসবেন তা সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট দফতর। তার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। আর এবার সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতে তল্লাশিতে যায় সিবিআই-এর একটি দল। তল্লাশি চলছে সচিব রত্না চক্রবর্তীর বাগচির বাড়িতেও। সংসদের অফিসেও গিয়েছে সিবিআই টিম। মূলত তদন্তের স্বার্থে নথি বাজেয়াপ্ত করতেই এই অভিযান বলে সূত্রের খবর। দিন কয়েক আগে হাইকোর্টের নির্দেশে অপসারিত হন মানিক ভট্টাচার্য। এবার মানিকের বাপুজি নগরের বাড়িতে অভিযান চালাল সিবিআই। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই-এর ৫ জন অফিসার তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: বড় খবর, করোনার কারণে নোটিশ জারি কলকাতার একাধিক স্কুলের! যা করতে হবে পড়ুয়াদের...
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সম্প্রতি ডেকে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে। তিনি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরাও দেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই মানিককে অপসারণের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি এমনও জানিয়েছিলেন, মানিককে আদালতে উপস্থিত থেকে টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত বিশেষ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নজরে ২১ জুলাই, বড় চমক দিতে চলেছে তৃণমূল! মঞ্চের অতিথিদের নিয়ে তুমুল গুঞ্জন
উল্লেখ্য, প্রাথিমক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট-এর মেধা তালিকায় অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রমেশ আলি নামে এক ব্যক্তি। ২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই মতো টেটের পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ফলপ্রকাশ হয়েছিল ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে। ওই বছরই প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বরেও দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। রমেশের অভিযোগ ছিল এই নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা বেআইনি। এর আগে এই দ্বিতীয় তালিকায় চাকরি পাওয়া ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Calcutta High Court, CBI, Primary Teacher