#কলকাতা: ভোটের মুখে স্বস্তিতে রাজ্য। বৃহস্পতিবারই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল তা তুলে নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ রাজ্যে ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোন থাকল না পর্ষদের কাছে। যদিও শর্তসাপেক্ষে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ ক্ষেত্রে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পরেই পর্ষদের স্বচ্ছতা নীতির দাবিতে আরও জোরাল সওয়াল করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন "এই নিয়ে তৃতীয় দফায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ করছে। আগেও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে পরেও হবে।"
এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে দিল৷ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে নাকি তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে পর্ষদের আধিকারিক সূত্রে খবর। রাজ্যে ইতিমধ্যেই জারি আছে নির্বাচনী আচরণবিধি। মেধা তালিকায় থাকা যে সকল চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগপত্র এখনও পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে নাকি তা নিয়েই মূলত আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ এমনটাই শিক্ষা দফতরের খবর। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে বলা হয়েছে এই বিষয়ে কমিশনের মতামত নেওয়া প্রয়োজনীয় নাকি তা নিয়ে আলোচনা করুক পর্ষদই। এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন " হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে আমরা তা মেনে চলব। নির্বাচন কমিশনের থেকে অনুমতি নিতে হবে নাকি সেই বিষয়ে আমি অভিজ্ঞ নই। আগে হাইকোর্টের রায়ের কপিটা পড়ি। তবে তারপর এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারব।"
দু'মাসের মধ্যেই ১৬৫০০ শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিশেষত মেধা তালিকা প্রকাশের পরপরই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া এমনকি প্রার্থীরা বিভিন্ন স্কুলে যোগ দিতে শুরু করে। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ এর জেরে তা কার্যত থমকে যায়। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর। পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আরও জানিয়েছেন "এই নিয়োগ প্রক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন। অনেকে নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন এবং চাকরিতে যোগদ দিয়েছেন৷ আজকের হাইকোর্টের নির্দেশে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই মসৃণ হয়ে গেল। এই নির্দেশে রাজ্যবাসী স্বস্তি পেয়েছে।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়