#কলকাতা: বাজেটে বদল আসছে আপনার শীঘ্রই। শিগগিরই বাড়তে চলেছে পুলকারের খরচ। প্রশাসনের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে পুলকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ঋষভের মৃত্যুর পরে চিন্তা বেড়েছে অভিভাবকদের। তাদের সন্তানকে যে গাড়িতে করে স্কুলে পাঠাচ্ছেন, সেই গাড়ি কি আদৌ উপযুক্ত? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য পরিবহন দফতর একগুচ্ছ নিয়ম কানুন চালু করতে চলেছে পুলকার নিয়ে। সুরক্ষাবিধি নিয়ে এই নিয়ম চালু করতে গেলে প্রতি মাসে খরচ বাড়বে বলে জানাচ্ছে পুলকার সংগঠনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাই সুরক্ষার জন্য বৃদ্ধি পেতে চলেছে খরচও।
রাজ্যজুড়ে দু-ধরণের পুলকার চলে। ১০ আসনের ও ২৬ আসনের। ১০ আসনের পুলকার চলে অনেক সময় সাদা নম্বর প্লেটে। জেলার পাশাপাশি কলকাতায় চলছে এমন গাড়ি। তবে এই গাড়ি দিয়ে শুধুমাত্র ১টা শিফট করা হয়। স্কুলে নিয়ে আসা ও বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। আর ২৬ আসনের গাড়ি দিয়ে দুবার ট্রিপ করা হয়। অভিযোগ যে সমস্ত গাড়ি দিয়ে এই সব ট্রিপ করা হয়, তার অধিকাংশ পুরনো, লজঝড় অবস্থা। আর এই সব গাড়ির ফিটনেস নেই, নেই স্পিড গভর্নর। এছাড়া গাড়ির ভিতরের অবস্থা ভীষণ খারাপ। এটাই বদল করতে চাইছে পরিবহন দফতর।
নয়া নিয়মে পরিবহণ দফতর চাইছে, যত আসন, তত জন পড়ুয়া। গাড়ির মধ্যে ক্যামেরা বাধ্যতামূলক। জি পি এস থাকতেই হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস অন্তর ফিটনেস সারটিফিকেট থাকতে হবে। রিসোল টায়ার চলবে না। পুলিশ ও পরিবহন দফতর চাইছে এর পাশাপাশি ভেহিক্যালস ট্র্যাকার লাগাতে। এর ফলে ওই গাড়ি কোথায়, কখন যাচ্ছে, কত গতিতে যাচ্ছে তা জেনে ফেলা সম্ভব হবে। পুলকার মালিকরা এই সব সিদ্ধান্ত মানতে রাজি৷ কেউ কেউ আবার রাজি নয় শুধুমাত্র টাকার জন্য। তাদের দাবি, এত কিছু মানতে গেলে যে টাকা প্রতি মাসে খরচ হবে সেই অনুযায়ী টাকা তারা বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পায়না।
পুলকার সংগঠনের হিসেব বলছে, মাথাপিছু ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা অবধি তারা পায়। এই টাকায় যে আয় হয়, তাতে চালকের মাহিনা, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ও অন্যান্য ট্যাক্স বাবদ তাদের যা আয় হয় তা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। সংগঠনের সদস্য সুদীপ দত্ত বলেন, "গাড়ির ভাড়া হয় প্রশাসন বিবেচনা করুক, না হয় অভিভাবকদের সাথে সমস্ত পক্ষ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিক। আমরা সুবিধা দিতে রাজি। কিন্তু আমাদের দিকটাও বিবেচনা করা হোক।" এই বিবেচনায় অবশ্য সায় নেই অনেক অভিভাবকদের। তানিয়া সাহা বলে একজন বলেন, যে টাকা দেওয়া হয় তাতে প্রাথমিক নিয়মগুলো মানা যায়। সেটা কেন মানা হচ্ছে না প্রশাসন ও সংগঠন সেটা আগে দেখুক। তানিয়াদেবীর সাথে সহমত অনেকেই। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মাধ্যমিক মিটলেই অভিভাবক, স্কুল, পুলিশ, পুলকার সংগঠন সাথে বৈঠক করবে রাজ্য পরিবহন দফতর। অন্যদিকে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলা শুরু করল পুলকার সংগঠনের সদস্যরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার অবধি ঝোলানো হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন ট্রাফিক গাড তাদের এলাকায় কত স্কুল আছে, কত পুলকার চলে, তাদের চালক কে, গাড়ির অবস্থা কি? তা নিয়ে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করে দিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Poolcar