#কলকাতা: শহরে প্রতিদিনের দুর্ঘটনা রিপোর্টে বারবার উঠে আসে দুর্ঘটনার খবর। বেশীভাগ ঘটনা বিশ্লেষণ করে জানা যায় দুর্ঘটনা ঘটার কারন বাইকের নিয়ম না মেনে বেপরোয়া হয়ে বাইক চালানো। কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মার নেতৃত্বে বারংবার ট্রাফিক সচেতনতা শিবির করা হলেও অসচেতন কিছু বাইক চালক।
মূলত দুর্ঘটনার প্রবণতা বেশি রাস্তার সিগনাল ও দুর্ঘটনাপ্রবন এলাকায়। শহরের এই বেপরোয়া গাড়ির জন্য অনেক সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিনিয়র সিটিজেনরা। অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে নানান পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। এবার তাদের হুশ ফেরাতে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিকের উদ্যোগে পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের তরফে দেওয়া হল সেই পাঠ। নিদিষ্ট লেন মেনে বাইক চালানো কতটা জরুরি তা জানা থাকলেও একাংশ বাইক আরোহী সর্বদা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর চেষ্টা করেন। পার্ক সার্কাস ক্রসিং এ বেপরোয়া বাইক আরোহীদের শেখানো হল ধীর গতিতে আস্তে আস্তে গেলে সময় ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুইটিই দূর হবে। পার্ক সার্কাসের একটি লেন তৈরি করে বেশ কিছু বাইক চালকে শেখালেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারা। বাইক চালকের দ্রুত যাওয়ার প্রবণতা অনেক সময় বিপদ ডেনে আসে আরোহীর।
পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে শেখানো হল নিদিষ্ট একটি লাইন মেনে বাইক চালানোর পদ্ধতি। ট্রাফিক গার্ডের তরফে মূলত শেখানো হল রাস্তার প্রতিটি বাইক নিয়ম মেনে যদি সঠিক রাস্তা ব্যাবহার করে তাহলে দ্রুত যাওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। এই প্রশিক্ষণের পরে এক বাইক চালকের বক্তব্য এই উদ্যোগ ভালো, তবে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ম মেনে যদি সবাই বাইক চালান তাহলে দুর্ঘটনার কোন সম্ভাবনা নেই। লাইন মেনে গাড়ি চালানোর পাঠ শুধুই যে শনিবার হল তা নয়, আগামীদিনেও প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন করে এই কর্মসূচি করবে পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে নানান পরিকল্পনা মধ্যে এটিও একটি পরিকল্পনা পুলিশের। পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইন চার্জ নীলেশ চৌধুরী জানান, পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে বাইক যাতে বেপরোয়া না হয়, আগামী দিনেও যেন দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে তারই এই উদ্যোগ। শহরের একাংশের প্রশ্ন সাবধানতা বা সচেতনতা পাঠ পুলিশ দিলেও হুশ ফিরবে কি বেপরোয়া বাইক আরোহীদের?
Susovan Bhattacharjee