#কলকাতা: ভক্তদের জন্যে নিয়ম মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির। ধরে নেওয়া হচ্ছে সপ্তাহের বিশেষ বিশেষ দিনে ফের ভক্তরা ভিড় করবেন দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দিরে। তবে আসা যাওয়ার পথে এখন ভরসা বাড়বে ভক্তদের গাড়ির ওপরে। আর মন্দিরের কাছেই বিমানবন্দর থেকে যাতায়াতের জন্য রয়েছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। সেই রাস্তার হাল কবে পাকাপাকিভাবে ফিরবে তার উত্তর খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন সকলে। কিছু জায়গায় কাজ শুরু হলেও এই বৃষ্টির সময়ে আদৌ সেই কাজ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সকলের মধ্যে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দর। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে মুলত জাতীয় সড়ক ২ এর সাথে জাতীয় সড়ক ৩৪ কে জুড়ে দেয়। অন্যদিকে মুম্বই বা দক্ষিণের রাজ্য থেকে আসা কোনও পণ্যবাহী গাড়ি যদি পড়শি দেশ বাংলাদেশ যেতে চায় তারাও ব্যবহার করে এই রাস্তা। এছাড়া বিমানবন্দর, তথ্য প্রযুক্তি তালুক যাওয়ার জন্যেও গুরুত্ব আছে এই রাস্তার। কিন্তু গাড়ির চাপে এই রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে আছে। বেশ কিছু জায়গায় কাজ শুরু হলেও, একটা বড় অংশে রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রতিনিয়ত সেখানে গাড়ি খারাপ হচ্ছে। রাস্তা জুড়ে সেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার জন্যে মাঝেমধ্যে যানজট বাড়ছে গত ৫ দিন ধরে। ফলে যারা নিত্যদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন তাদের বক্তব্য দ্রুত রাস্তা সারাই করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানাচ্ছেন, "এক বছর আগেও রাস্তা খারাপ হয়েছিল। এখনও সেই এক অবস্থা। মাঝেমধ্যে এসে কিছুটা পিচ ঢেলে দিয়ে চলে যায়৷ বৃষ্টি হলে সেটাও উঠে বেরিয়ে যায়।" এই রাস্তার ওপরেই তৈরি হচ্ছে বরানগর মেট্রো স্টেশন। তার সামনে সবচেয়ে বেশি খারাপ এই রাস্তার অংশ। মেট্রোর কাজের জন্যে একাধিক বড় বড় গাড়ি যন্ত্র এখানে আসে৷ সেটা রাস্তার একদিক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। বাকি অংশ খারাপ রাস্তা দিয়ে গাড়ি যেতে গিয়ে ব্যাপক যানজট হয়। এখন গাড়ির চাপ কম থাকলেও এই যানজট এড়ানো যায়নি। তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে কাজ করেন স্নেহা চ্যাটার্জি। প্রতিদিন শাটলে অফিস যেতে হয়। তিনি জানাচ্ছেন, "বহু দিন ধরে রাস্তাটা খারাপ হয়ে পড়ে আছে৷ কেউ দেখভাল করে না। প্রতি বছর এক অবস্থা। এখন গাড়ি রাস্তায় কম ছিল বৃষ্টি নামার আগে কাজটা করলে আমাদের ভোগান্তি কমত।" বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে মুলত জাতীয় সড়কের। যদিও তাদের দাবি এটা রাজ্য সড়ক পরিবহণ বিভাগ দেখাশোনা করে। জাতীয় সড়কের আধিকারিকদের বক্তব্য, আমরা কথা বলছি যাতে দ্রুত রাস্তা সারাই করা হয়। রাস্তা ব্যবহারকারীরা অবশ্য এতে ভরসা পাচ্ছেন না। ফলে ফের অসুবিধার কথা ভেবে তারা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন।