#কলকাতা: শুনশান এজলাস। আদালত চত্বরের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে। হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালত। সর্বত্র একই দৃশ্য। বিচারপতি বা বিচারকেরা আদালতে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনার দৌলতে এজলাস ফাঁকা। লকডাউন পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিকা জারি করেছেন। নির্দেশিকায় ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যের সব আদালতের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে জরুরি শুনানি চলবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। হাইকোর্টের পাশাপাশি জেলা আদালত গুলিতেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরি শুনানি হচ্ছে এখন। করোনা জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানি হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সে। মঙ্গলবার মামলার ফের শুনানি। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী সামিম আহমেদ, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরদৌস শামিম। প্রত্যেকেই বলছেন জরুরি শুনানির মামলা হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সে তবে বার-বেঞ্চে'র সেই অনুভূতি অধরা রয়ে যাচ্ছে।
বছরভর রিট মামলায় ব্যস্ত থাকা আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলছেন, লকডাউনে গৃহবন্দী হয়েও মক্কেলদের কথা দিতে পারছি না তাদের মামলায় কবে সুরাহা মিলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নানান মামলায় যুক্ত থাকা আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় বলছেন, এখন করোনা সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা খুঁটিয়ে পড়ছি আর তা সংগ্রহ করে রাখছি। লকডাউনে সবথেকে খারাপ অবস্থা ক্লার্ক, টাইপিস্ট দের। অনেকেই সংসার টানতে হিমশিম খাচ্ছে। মামলাও হয়েছে ক্লার্কদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েও, যা এখন বিচারাধীন। লকডাউনের দিন যত বাড়ছে একটু একটু করে চরম অনিশ্চয়তা, হতাশার দিকে এগোচ্ছে বিচারের সঙ্গে যুক্ত কমবেশি সবাই।
এই অবস্থায় আইনজীবীদের এককালীন ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বার কাউন্সিল। রাজ্যের ৪০০০০ আইনজীবীকে ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিতে প্রয়োজন ১২ কোটি টাকার। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যের আবেদন জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবীর কথায়, "জিএসটি এবং নোটবন্দির এমনিতেই মামলার সংখ্যা কমে গেছে । তবু আদালত চালু থাকলে সচল থাকে আমার মতো হাজার হাজার লোকের সংসার। এখন চোখে অন্ধকার দেখছি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Court proceedings, COVID-19, High Court