কলকাতা: তিনি জেল বন্দি। তবু নজর রেড রোড, শহিদ মিনারে। রেড রোডে দু দিন ধরে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর বুধবারই শহিদ মিনারের সভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল দুর্নীতিকে সমর্থন করে না৷ তার প্রমাণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত৷
অভিষেকের এই মন্তব্যে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও পার্থ এ দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে বেরনোর সময় দাবি করেন, 'অভিষেকের মন্তব্যে নিয়ে কিছু বলব না৷ কিন্তু দলের কাছে প্রমাণ করব, আমি কোনও অন্যায় করিনি৷ আমি মন্ত্রী ছিলাম, নিয়োগ কর্তা না৷'
আরও পড়ুন: 'যতবার দিল্লি গিয়েছি ততবার আমার বাড়ির সামনে...' বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি মমতার!
তবে এ দিন ফের একবার দলনেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে পার্থর মুখে। এ দিন আদালতে ঢোকার সময় পার্থ বলেন, 'কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মমতার লড়াই চিরকাল ছিল। মমতা বন্দোপাধ্যায় ধবাংলার হয়ে লড়াই করার সংগ্রামী নেত্রী।তিনি বাংলার ভাগ্য দেখবেন, উন্নয়ন দেখবেন। উনি বাংলার টাকা উদ্ধার করবেন।বিনা বিচারে জেল বন্দি হয়ে পরে আছি।সত্য একদিন বেরোবে। মমতার উপরে একশো শতাংশ ভরসা আছে৷'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গেও এ দিন মুখ খুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কয়েকদিন আগের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু দাবি করেন, তৃণমূল নেতৃত্বের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী৷ এ দিন বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগের জবাবে পার্থ বলেন, 'অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর দিইনা। এ ধরনের অভিযোগ অসত্য বাস্তবহীন ও কোনও তথ্য নির্ভর নয়। আমি যা করিনি জীবনে। বিরোধী দলনেতা জানেন। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না।আমি এ ধরনের মন্তব্য ওনার থেকে আশা করিনি।'
আরও পড়ুন: 'তিহাড়ে হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস', শাসকদলকে ফের চড়া সুরে নিশানা সুকান্ত-শুভেন্দুর
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন আদলাতে এসে ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি বার্তাও পাঠিয়েছেন৷ পার্থ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়াত বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের সঙ্গেকারারক্ষী সমিতি গঠন করেছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে। পরে তা ভেঙে দেওয়া হয়। এখন জেলের ভিতর এসে তাঁর মনে হচ্ছে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ছাতার তলায় আনা দরকার। বৃহস্পতিবার আদালতে চত্বরে এসে ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কে এই বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন জানান পার্থ চট্টাপাধ্যায়
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ইডি কলকাতায় কাউকে পাচ্ছে না। সবাইকে চুঁচুড়া থেকে ধরে আনছে। অয়ন শীল, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে পার্থ জানান, "অয়ন কুন্তল কাউকে চিনি না। চেনা তো দূরের কথা। এদের আমার ৩০০ মাইলের মধ্যে ঢোকারও ক্ষমতা নেই। ইডি প্রথমে বলল কুন্তল আমাকে টাকা পাঠাতো। এখন বলছে অয়ন কুন্তলের মাধ্যমে আমাকে পাঠাতো। আগে ঠিক করুক কে টাকা পাঠাতো। ডকুমেন্টারি এভিডেন্স দেখাক।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে আরও জানান, 'আমি কুন্তল ঘোষদের তৈরি করি না।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।