ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: সীমান্ত এলাকায় জনসংযোগের পর এবার গেরুয়া শিবিরের টার্গেট গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্ক। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে গ্রাম দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বঙ্গ পদ্ম শিবিরের যুব মোর্চা এবার গ্রামের মানুষের মন কি বাত বুঝতে আসরে নামছে। পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের ভোট। তাই গ্রামের ভোটের আগে বিজেপির নজর গ্রামীণ এলাকা। ইতিমধ্যেই যুব মোর্চা প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে তাদের টার্গেট ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা আসন বলে আগেই জানিয়েছে। আগামী মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে পদ্ম শিবিরের নতুন কর্মসূচি 'দুয়ারে যুব মোর্চা' ।
তেইশে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম দখলের লড়াই। তাই বিজেপির নজর গ্রামে। ক’দিন আগেই বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতিতে নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দেন, সীমান্ত এলাকার গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে। সেই মতো বঙ্গে ময়দানে নেমে পড়েছিল পদ্ম শিবির। এবার গ্রাম বাংলার মানুষের মন বুঝতে গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের অভাব অভিযোগ জানার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারে নেমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া পদ্ম ব্রিগেড। অনেক জায়গাতেই এখনও জেলায় জেলায় বুথ কমিটি তৈরি না হওয়া, নড়বড়ে সংগঠন, বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত জেরবার পদ্ম ফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজ্যের ১০ টি জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চলে বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন- ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না...’ বললেন ফাইনালের সেরা বাংলার তিতাস সাধু
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এবার বিজেপির নজর ১৬৩টি বিধানসভা এলাকার গ্রামীণ এলাকা। সাংগঠনিক দুর্বলতা ঠেকাতে এবার গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। এরজন্য বিজেপি বেছে নিয়েছে রাজ্যের ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রকে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ওই সমস্ত বিধানসভা এলাকাগুলির ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রাম বাংলা সম্পর্ক অভিযান’। এই কর্মসূচিতে ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেনের পাশপাশি চলবে সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলায় বৈঠকও।
বিজেপি সূত্রে খবর, জাতীয় স্তরের নেতারাও অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ কতটা পাচ্ছেন তা নিয়েও খোঁজখবর নেবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শাসক দলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মানুষের মন বুঝতে দিদির দূতরা এলাকায় গিয়ে কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে তা দেখতেই পাচ্ছেন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এলাকায় গেলে তাদের বিদায় জানাচ্ছে। আর আমাদের স্বাগত। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। তাই সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’’
একটিও পুরসভা নেই, পশ্চিমবঙ্গে এমন বিধানসভা আসন রয়েছে ১৬৩টি। একুশের বিধানসভা ভোটে এই ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১২৬টিতে। বিজেপি ৩৬টিতে। আইএসএফ ১টিতে। গ্রামের ভোটের আর বেশি দিন বাকি নেই। বলা চলে দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। তারপর ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। তাই এখন থেকেই গ্রামকে টার্গেট করে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। তবে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের নয়া কর্মসূচি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে কতটা ফসল তুলতে সাহায্য করবে বঙ্গ বিজেপিকে তা নিয়ে দলের অন্দরেই রয়েছে প্রশ্ন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal BJP, BJP, Panchayat Elections 2023