#কলকাতা: কালো কারবারিদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের সাঁড়াশি আক্রমণ ৷ নোট বাতিলের পর এবার শুরু দাগিয়ে দেওয়ার নিয়ম ৷ কালো কারবারিদের ঠেকাতে টাকা বদলেও লাগাম। আঙুলে কালি লাগানো হলে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে একবারই মিলবে টাকা বদলের সুযোগ। বাকি টাকা জমা দিতে হবে অ্যাকাউন্টে। আজ থেকে কলকাতা ও শহরতলিতে গ্রাহকদের আঙুলে কালি লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু। কাল টার্গেট মালদহ ও মুর্শিদাবাদ।
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক সপ্তাহ পর হুঁশ ফিরল কেন্দ্রের। কালো টাকার লেনদেনে লাগাম টানতে গ্রাহকদের হাতে কালি লাগান সিদ্ধান্ত নিল সরকার। ঠিক হয়েছে, পুরনো নোট বদল করতে গেলে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের আঙুলে ওই কালি লাগিয়ে দেবে। যাতে করে একজন গ্রাহক একই দিনে বারবার টাকা না বদল করতে পারেন। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস থেকে নোট বদল। নিয়মের ফাঁক গলেই বেরিয়ে যাচ্ছিল কালো কারবারিরা। ছোট ছোট দল তৈরি করে চলছিল বাতিল নোট বদলে ফেলার পালা। বিপদ বুঝে এবার তাতে লাগাম পরানো হল।
তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও নোট বদলের অষ্টম দিনে বেশিরভাগ জায়গাতেই লাগানো হয়নি কালি ৷ ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানান, আরবিআই-য়ের তরফে কালি না পৌঁছানোয় নতুন নির্দেশিকা অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই গোটা কলকাতা ও শহরতলিতে টাকা বদল করলেই লাগানো হবে কালি ৷ ঠিক যেমন করে ভোটদানের পর কালি দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া হয় ভোটদাতার তর্জনী, তেমন করেই এবার নোট বদলালেই দাগী হতে চলেছে আঙুল ৷ যদিও এদিন থেকেই কলকাতার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে নোট বদলাতে এলেই কালি লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে জেলাগুলিতেও শুরু হয়ে যাবে কালি লাগানোর প্রক্রিয়া ৷ মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দিকে বিশেষ নজর থাকবে কেন্দ্রের ৷ এই দুই জেলাতেই জনধন যোজনায় কোটি টাকারও বেশি নোট বদল করা হয়েছে ৷ বুধবারই স্টেট ব্যাঙ্কের ১০০ শাখায় কালি পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন SBI সিজিএম পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত ৷ এছাড়াও কলকাতার ১৯০ টি ব্রাঞ্চ সহ রাজ্যে এসবিআই-য়ের ১২০০ শাখায় পৌঁছে দেওয়া হবে কালি ৷ গ্রাহকদের কাছে SBI সিজিএম-এর অনুরোধ, ‘বিভিন্ন জোনে ভাগ করে কালি পৌঁছানো হবে ৷ যেখানে কালি নেই, সেখানে নোট বদল হবে কিন্তু একই গ্রাহক যেন বারবার না আসেন এটা অনুরোধ ৷
শুরুর দিন থেকেই ব্যাঙ্ক আর এটিএমগুলোর বাইরে দীর্ঘ লাইন। আর টাকার জন্য হাহাকার। টাকা বদল করতে গিয়েও সমস্যা। সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকাও বদল করতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষ। এটিএমগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। বেশির ভাগ জায়গায় নো ক্যাশ। যেখানে টাকা আছে, সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর অপেক্ষা। মেশিন পর্যন্ত পৌঁছনোর পর টাকা শেষ। দেশ জুড়ে বাড়ছিল ক্ষোভ। এরই মধ্যে নিয়মের ফাঁক গলে ঘন ঘন নোট বদলে ফেলছিল কালো টাকার কারবারিরা। নোট বাতিল হতেই, কালো কারবারিদের নজরে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন ধন প্রকল্পের অ্যাকাউন্টগুলি। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে শুরু হয়েছে ইডি ও আয়কর বিভাগের নজরদারি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Black money, Currency Crunch, Demonitisation, ED, Inked, Note Exchange