হোম /খবর /দেশ /
QR কোড দেখিয়েই এবার মিলবে মেট্রো চড়ার অনুমতি

QR কোড দেখিয়েই এবার মিলবে মেট্রো চড়ার অনুমতি

নিট পরীক্ষার দিনে স্পেশাল মেট্রো চালাতে অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই দিনেই এক দফা ট্রায়াল রান হয়ে যেতে পারে।

  • Share this:

#কলকাতা: মুম্বই মডেলের ধাঁচেই চালু হচ্ছে কলকাতা মেট্রো। যাত্রীদের জন্যে থাকছে ই-পাস। তবে প্রথমে যেটা বলা হয়েছিল, স্মার্ট কার্ড না থাকলে স্টেশনে প্রবেশ নিষেধ। সেই নিয়মে বদল আনা হচ্ছে নয়া স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে। যারা ই-পাস পাবেন তারাই স্টেশনের মধ্যে ঢোকার সুযোগ পাবেন। সেখানে কাউন্টার খোলা থাকবে। সেখান থেকে মিলবে স্মার্ট কার্ড কেনার সুযোগ। তবে এটা শুধুমাত্র নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষের জন্যেই। কারণ আপাতত চালু হচ্ছে না ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো।

তবে যাত্রীদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন যাদের হাতে স্মার্ট ফোন নেই তারা কি মেট্রো সফর করতে পারবেন। চেষ্টা করা হচ্ছে অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে কথা বলে, যাতে এস এম এস মারফত ই পাস ইস্যু করে দেওয়া হয়। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে মেট্রোর ওয়েবসাইট বা পথ দিশা অ্যাপ মারফত লগইন করে পাওয়া যেতে পারে এই ই পাস। ইতিমধ্যেই কিউ আর কোড সহ পাশ কেমন হবে তা দেখানো হয়েছে মেট্রো রেলের আধিকারিকদের। অপরদিকে মেট্রো সূত্রে খবর, মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু হতে পারে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর।

নিট পরীক্ষার দিনে স্পেশাল মেট্রো চালাতে অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই দিনেই এক দফা ট্রায়াল রান হয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে শুরু হয়ে গেছে সাফ সুতরো করার কাজ। সূত্রের খবর, আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর মেট্রো জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী নিজে স্টেশন পরিদর্শনে যাবেন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে চলবে মেট্রো।

কলকাতায় মেট্রোর প্রতি কোচে আসন সংখ্যা হল ৪৮ করে। আট'টি করে কোচ থাকায় মোট আসন সংখ্যা হল ৩৮৪ জন। এক তৃতীয়াংশ হওয়ায় সেই আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ১২৮ জন। এরপর সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন দাঁড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে মেট্রো। সব মিলিয়ে একটা রেকে ৩২৮ জন করে একটা রেকে যেতে পারবেন। এর পাশাপাশি যে সব বিষয় নিয়ে চর্চা হচ্ছে তা হল,  একাধিক লাইন আছে, এমন মেট্রো ধীরে ধীরে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করবে, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবকটি লাইন চালু হবে। সেই অনুযায়ী কলকাতায় মেট্রো চালু হতে পারে ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রথমে কতক্ষণ মেট্রো চলবে সেটা সময়ে ভেঙে দিতে হবে। ধীরে ধীরে সেটি বাড়বে। দু’‌টি ট্রেনের মধ্যে সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে স্টেশনে ভিড় না হয়। সমস্ত কন্টেইনমেন্ট জোনে এন্ট্রি ও এক্সিট গেট বন্ধ রাখতে হবে। তবে সূত্রের খবর, মাত্র একটি গেট এন্ট্রি ও একটি এক্সিট গেট হিসেবে  থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্টেশনে ও ট্রেনে মার্কিং করে দিতে হবে।সমস্ত যাত্রী ও কর্মীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাঁদের মাস্ক নেই তাঁদের জন্য অর্থের বিনিময়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। শুধুমাত্রা উপসর্গহীন যাত্রীরাই মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রবেশ দ্বারে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। কারও অসুস্থতা ধরা পড়লে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে স্থানীয় কোভিড সেন্টারে।

যাত্রীদের জন্য প্রবেশ দ্বারে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্টেশন ও ট্রেনের সমস্ত অংশে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।শুধুমাত্রা স্মার্টকার্ড ও ক্যাশলেস যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া টোকেন, পেপার স্লিপ বা টিকিট ব্যবহার হলে সেটা স্যানিটাইজ করে ব্যবহার করতে হবে।স্টেশনে গাড়ি যথেষ্ট সময় দাঁড়াবে যাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রেখে ট্রেন থেকে ওঠা নামা করা যায়।এয়ার কন্ডিশন সঠিক নিয়ম মেনে পালন করতে হবে। দেখতে হবে যাতে যথেষ্ট পরিমাণে বাইরের বাতাস প্রবেশ করে। যাত্রা নিয়ে যথেষ্ট তথ্য যাতে কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে পৌঁছে যায়, সেই কারণে পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে হবে, যাতে স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Kolkata metro