#কলকাতা: বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) নিজের রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতি অসন্তোষ জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল ছবিটা৷ তিনি নির্বাচিত সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে না জানিয়েই এলাকার সব কিছু হচ্ছে এই অভিযোগে অসন্তুষ্ট ছিলেন টলিউডের একসময়ের ডাকসাইটে অভিনেত্রী৷ তিনি এও জানান তিনি দিল্লি যাবেন৷
এরপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নামেন৷ তিনি কথা বলেন শতাব্দীর সঙ্গে৷ এই বৈঠকের পরেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে৷ বৈঠক থেকে বার হওয়ার পর তিনি জানিয়ে দেন , তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না৷
তিনি আরও জানিয়ে দেন তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যেখানে ডাকেন সেখানেই তিনি যান, আগামী দিনেও যাবেন৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলে দেন যদি কারোর কোনও অসন্তোষ থাকে তাহলে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত৷ পাশাপাশি তিনি সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বানও জানান৷ শুনুন বৈঠকের পর ঠিক বললেন বীরভূমের সাংসদ৷
#WATCH I am not going to Delhi tomorrow. I was with TMC and will remain with TMC, says TMC MP Satabdi Roy in Kolkata pic.twitter.com/YifUjQ5ekM
— ANI (@ANI) January 15, 2021
এদিকে এর আগে শতাব্দী রায়কে ফোন করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ এ দিন দুপুরে শতাব্দীর রায়ের সঙ্গে দেখা করতে সাংসদের বাড়িতে যান কুণাল৷ সেই সময়ই শতাব্দীকে ফোন করেন মুকুল৷
বৃহস্পতিবারই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেব শতাব্দী স্পষ্ট করেন, বীরভূমে কয়েকজন নেতার বাধায় সাংসদ হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারছেন না৷ এ দিন সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমেও মুখ খোলেন শতাব্দী৷ আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি৷ এর পরই শতাব্দীর মান ভাঙাতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সৌগত রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন সহ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীকে ফোন করেন৷ সাংসদের বাড়িতে যান কুণাল৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টা শতাব্দীর বাড়িতে ছিলেন তিনি৷ তিনি সেখানে থাকাকালীনই শতাব্দীকে ফোন করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
যদিও মুকুল রায়ের সঙ্গে শতাব্দীর কী কথা হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি কুণালও৷ ইতিমধ্যেই শতাব্দীরও বিজেপি-তে যাওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছে৷ তৃণমূল সাংসদ অবশ্য দাবি করেছেন, এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি৷ তবে শতাব্দী দাবি করেছেন, দল বদল করা মানেই কাউকে লোভী বলা ঠিক নয়৷ শনিবার বেলা দুটোয় ফেসবুক লাইভ করার কথা ছিল শতাব্দী রায়ের৷