হোম /খবর /কলকাতা /
শুভেন্দু ও তাঁর দফতর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ছেড়ে দেওয়া দফতর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিলেও মমতা বুঝিয়ে দেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে৷ ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে লড়াই করতে হয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী৷ এই প্রসঙ্গেই দুই মেদিনীপুরের লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'তৃণমূল যখন তৈরি করেছিলাম, আমার মনে আছে প্রথমবার অখিল লড়াই করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে৷ আমরা জিততে পারিনি, দ্বিতীয় হয়েছিলাম৷ তৃণমূল কংগ্রেস অত দুর্বল নয়৷ যদি কেউ মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, দর কষাকষি করব, তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব৷ তাহলে সেই বিজেপি দল এবং বিজেপি দলের যারা বন্ধুদের বলব আগুন নিয়ে খেলবেন না, আর যাকে পারেন জব্দ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না৷ কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে৷'

সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিলেও মমতা বুঝিয়ে দেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে৷ ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে লড়াই করতে হয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী৷ এই প্রসঙ্গেই দুই মেদিনীপুরের লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'তৃণমূল যখন তৈরি করেছিলাম, আমার মনে আছে প্রথমবার অখিল লড়াই করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে৷ আমরা জিততে পারিনি, দ্বিতীয় হয়েছিলাম৷ তৃণমূল কংগ্রেস অত দুর্বল নয়৷ যদি কেউ মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, দর কষাকষি করব, তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব৷ তাহলে সেই বিজেপি দল এবং বিজেপি দলের যারা বন্ধুদের বলব আগুন নিয়ে খেলবেন না, আর যাকে পারেন জব্দ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না৷ কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে৷'

দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী ৷

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ ৷ আলোচনায় বসার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যায় ৷ শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া দফতর নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত ৷ আপাতত দফতরগুলি নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একইসঙ্গে নন্দীগ্রাম বিধায়কের সঙ্গে দলের সমীকরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেত্রীর ৷

তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিসভায় রাজ্য পরিবহণ, সেচ এবং জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু ৷ সেই সমস্ত পদ থেকে এদিন সকালে ইস্তফা দেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা ৷ তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন ৷ একইসঙ্গে এও বলেন আপাতত শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে দেওয়া দায়িত্ব অর্থাৎ পরিবহণ, সেচ এবং জলসম্পদ দফতর নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও ৷

অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী ৷ এদিন সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবারও নন্দীগ্রাম বিধায়কের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ৷ কিন্তু শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পর কড়া বার্তা দলের তরফে আপাতত কেউ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করবেন না বলেই সূত্রের খবর ৷

দলের সঙ্গে দূরত্ব বেশ কয়েক মাস ধরেই তৈরি হয়েছে ৷ তৃণমূলের তরফে সাংসদ সৌগত রায় দু’বার তার সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি ৷ সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ বারবার উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সংগঠন নিয়ে তাঁর কিছু দাবি ছিল , তা নিয়ে কোনও সমাধান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি ৷ অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর, সংগঠনের কাছে যেসব দাবি শুভেন্দু অধিকারী রেখেছিলেন তা সব মেনে নিয়ে শুধুমাত্র একজনের জন্য দলের পরিকাঠামো পাল্টে নতুন কোনও ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ দলের তরফে এর আগে যোগাযোগ করে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা হলেও নিজের জায়গায় অনড় থেকেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷  আলোচনার মাঝেই এত দ্রুত মন্ত্রীত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব বলে জানা যাচ্ছে ৷ তাই আপাতত সাময়িক বিরতি দিয়ে রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত শুভেন্দু অধিকারীর হাতেই ছেড়ে দিতে চাইছে দল, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Suvendu Adhikari