#কলকাতা: নিউ টাউন কাণ্ডে এবার আসল সুমিত কুমারকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত এই সুমিত কুমারের নাম ভাঁড়িয়েই নিউ টাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দুই দু্ষ্কৃতী জয়পাল এবং জশপ্রীতকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ভরত কুমার৷ নিউ টাউনে এনকাউন্টারের পরে ইতিমধ্যেই ভরত কুমারকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
অন্যদিকে সিআইডি-র তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের ভিতরে দুই অপরাধী ছাড়াও আরও একজনের আঙুলের ছাপ পাওয়া গিয়েছে৷ অর্থাৎ সেখানে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির যাতায়াত ছিল৷ এই তৃতীয় ব্যক্তি ভরত কুমার ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ভরত কুমারের আঙুলের ছাপের সঙ্গে ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া তৃতীয় ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ জুন নিউ টাউনে শ্যুটআউটের ঘটনার পরদিনই হরিয়ানার একটি থানায় গিয়ে আধার কার্ড, পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করে সুমিত কুমার৷ সে দাবি করে, এপ্রিল মাসে তার একটি ব্যাগ হারিয়ে যায়৷ সেই ব্যাগেই ছিল পাসপোর্ট, আধার কার্ডের মতো সমস্ত নথি৷ এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের৷ এপ্রিল মাসে ব্যাগ হারালেও কেন নিউ টাউনের এই ঘটনার পরই সে অভিযোগ দায়ের করল, সেই প্রশ্ন ওঠে পুলিশ আধিকারিকদের মনে৷ হরিয়ানা পুলিশের তরফে বিষয়টি পঞ্জাব পুলিশকে জানানো হয়৷ এর পরই আসল সুমিত কুমারকে জেরা শুরু হয়৷ জেরায় শেষ পর্যন্ত সুমিত স্বীকার করেছে, নিজের আধার কার্ড, পাসপোর্ট ব্যবহার করার জন্য সে নিজেই ভরত কুমারকে দিয়েছিল৷ পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, ভরত এবং সুমিত পূর্ব পরিচিত৷ সুমিতের নামে অতীতে কোনও অপরাধের যুক্ত থাকার অভিযোগ নেই৷ সেই কারণেই তার নথি ব্যবহার করে ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিল ভরত৷
জানা গিয়েছে, ভরত কুমার ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইটের সূত্রে সুশান্ত দাস নামে একজন দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর সুশান্ত দাস নামে ওই দালালকে আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের প্রতিলিপি দেন ভরত৷ তাতে সুমিত কুমারেরই নাম, ঠিকানা সহ সমস্ত তথ্য ছিল৷ শুধুমাত্র ছবিটি ছিল ভরত কুমারের৷ সুশান্ত দাসের দাবি, ভরত কুমারের দেওয়া নথি সে নিয়ম মেনে টেকনো সিটি থানায় জমা দেয়৷ পুলিশ ছাড়পত্র দেওয়ার পরই ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়া হয় ভরতের হাতে৷ দুই অপরাধীকে ফ্ল্যাটে থাকার বন্দোবস্ত করে পঞ্জাবে ফিরে যায় সে৷ ভরতের দেওয়া নথি যে জাল ছিল, তা পুলিশের ভেরিফিকেশনে কেন ধরা পড়ল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ ফলে স্থানীয় থানার তরফেও গাফিলতির অভিযোগ উঠছে৷ ভরত গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে শনাক্তও করেছেন সুশান্ত দাস নামে ওই বাড়ির দালাল৷
এর পাশাপাশি এনকাউন্টারে নিহত দুই দুষ্কৃতী জয়পাল এবং জশপ্রীতের হাত থেকেই গান পাউডারের নমুনা মিলেছে৷ ফলে, দুষ্কৃতীরা যে ঘটনার দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, তা প্রমাণিত হল৷ দুষ্কৃতীদের পাশে মেলা আগ্নেয়াস্ত্রেও তাদের হাতের ছাপ মিলেছে৷
Sukanta Mukherjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: New Town